Breaking News
Home / ইসলাম ধর্ম / রাতে পালনীয় সুন্নাহ

রাতে পালনীয় সুন্নাহ

(মুলিমবিডি২৪ডটকম)

রাতে পালণীয় সুন্নাহ

শিশুদের পালনীয়  সুন্নাহঃ যখন রাত হয়ে যাবে তখন শিশুদেরকে বাহিরে যেতে দিবেন না।

 

কারণ হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, এ সময় শয়তানের বাহিনী চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

আরো জানুন👉সন্তান বিপথে যাওয়ার কারণ ও প্রতিকার 

তবে কোন প্রয়োজনে বের হলে ” بسم اللّٰہ توکلت علی اللہ لا حول ولا قوہ الا باللہ” উপরোক্ত দোয়াটি শিশু যদি পড়তে পারে তাহলে তাকে উক্ত দোয়াটি পড়তে বলবেন।

 

যদি সে পড়তে না পারে তাহলে তুমি নিজেই দোয়াটি পড়ে তাকে নিয়ে বের হবেন।

 

এই দোয়ার বরে শয়তান ও জিন ইত্যাদির অনিষ্ট থেকে শিশু হেফাজতে থাকবে।

আরো জানুন👉সন্তান জীবনটার্নিংয়ে আপনার অবহেলা; বিপত্তিতে ভবিষ্যৎ 

উত্তম হলো সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথেই ‘বিসমিল্লাহির রাহনির রাহীম ‘পড়ে দরজা জানালা সব বন্ধ করে দেওয়া।

 

একটু পরে পুনরায় বিসমিল্লাহ বলে খুলে দেওয়াতে কোন ক্ষতি নেই।

 

মাগরীবের ফরয এবং পড়ে নিম্নোক্ত দোয়াটি নিজেও পড়বেন এবং শিশুদেরকে ও পড়তে উৎসাহিত করবেন

 

“بسم اللّٰہ الذی لا یضر مع اسمہ شیء فی الارض ولا فی السماء و ھو السمیع العلیم”

 

 فاللہ خیر حافظا وھو ارحم الراحمین

 وحفظا من کل شیطان مارد 4: اعوذباللہ السمیع العلیم من الشیطان الرجیم

 

বিশেষ করে বিকেলে নিম্নোক্ত দোয়াটি তিনবার পড়া উচিত। “اعوذ بکلمات اللہ التامات من شر ما خلق”

 

বাসস্থানের সুন্নাহঃ এশার পর যখন ঘরে ফিরে আসবে তখন বিসমিল্লাহ বলে ঘরে প্রবেশ করে বিসমিল্লাহ বলে ঘরের দর্জা বন্ধ করে দিবেন।

 

এর ে শয়তান ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না

বার্তার সুন্নাহঃ এশার পর অনর্থক গল্পে লিপ্ত হবেন না। অবশ্য সম্মত আলোচনা করা যাবে।

আরো জানুন👉মুমিনের নিদ্রা যাপন 

তবে ফজরের নামাজ যেন কাযা না হয়ে যায় সেই দিকে খেয়াল রাখবেন।

 

 

বাতি নিভানোর সুন্নাহঃ  ঘুমানোর সময় বাতি নিভিয়ে দিবেন। চুলার আগুন ও নিভিয়ে দিবেন। অন্যথায় ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

 

 

বাসনপত্রের সুন্নাহঃ শোয়ার পূর্বে বাসন পত্র ধুয়ে ঢেকে রাখবেন।কোন বাসনই খোলা রাখবেন না।

 

কারণ এতে মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটে এবং শয়তান প্রবেশ করে।

 

ঢেকে রাখার কিছু না পেলে বিসমিল্লাহ বলে একটা কাঠের টুকরো বাসনের উপর রেখে দিবেন।

 

ুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথার উপর আমল জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।

 

 

শোয়ার সুন্নাহঃ  শোয়ার মনস্থ করবেন তখন কোরআন শরিফের যে কোন সুরা থেকে যে পরিমাণ পারবেন তেলাওয়াত করবেন।

 

অতপর সুরায়ে মুলক,আয়াতুল কুরসি, চার কুল,সুরায়ে ফাতেহা, দরুদ শরীফ পাঠ করবেন।

আরো জানুন👉সূরা মুলক এর ফজিলত সমূহ 

প্রতিদিনের গুনাহের কথা স্বরণ করে বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়বেন। ডান কাত হয়ে গালের নিচে ডান হাত রেখে

 

“اللہم باسمک اموت وائی”উক্ত দোয়াটি পড়ে ঘুমাবেন।

 

মাগরীবের নামাজের পর অন্যান্য মাসনুন দোয়াসমুহ পাঠ করার পর সুরায়ে ওয়াকিয়া পাঠ করবেন।

 

আরো জানুন👉বিসমিল্লাহ ও দুরূদ অশুদ্ধ বা অসম্পূর্ণ বলা ও লেখা 

আল্লাহ তাআ'লা সবাইকে এগুলোর উপর আমল করার তাওফিক দিন।

 

About আবদুল্লাহ আফজাল

হাফিজ মাওঃ মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আফজাল। ২০১২ সনে হিফজ সম্পন্ন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন২০১৬ সনে। দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন ২০২০ সনে। ঠিকানা: বালাগঞ্জ, সিলেট। মোবাইল নাম্বার: 9696521460 ইমেইল:hafijafjal601@gmail.com সকল আপডেট পেতে এবং ওয়েবসাইটে লিখা পাঠাতে ফেসবুক পেজ👉MD AFJALツ ফলো করুন।

Check Also

অধিক হারে ইস্তেগফারের ফজিলত

ইস্তেগফারের ফজিলত

হামদ ও সালাতের পর… রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যত ভালো কাজ শিক্ষা দিয়েছেন, তাতে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost