পরকালের পথ ধরে পরকালীন পথে এগিয়ে চলছে মানুষ।
পথ চলা শুরু হয়েছে রুহের জগত থেকে,তারপর দুনিয়ার পথ,তারপর মৃত্যুর অনিবার্য তোরন।
তারপরেই অফুরন্ত জীবন,সে জিবনে রয়েছে চির-শান্তি অথবা চির-শাস্তি।
ওই শান্তি ও শাস্তির বিষয়টি নির্ধারিত হবে পৃথিবীর কর্মকাণ্ডের উপরেই।
তাই ব্যক্তিক ও সামষ্টিক জীবনকে সংযত,শুদ্ধ ও পরিশিলিত না করে আমাদের উপায় নেই।
তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের খুব হিসেব করে চলতে হবে। বুঝে বুঝে ফেলতে হবে প্রতিটি কদম।
অনেক চিন্তা- ভাবনার পর আঞ্জাম দিতে হবে প্রতিটি কাজ।
জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে একমাত্র কোরআন-সুন্নাহকেই প্রাধান্য দিতে হবে।
আল্লাহর হুকুকগুলো আদায় করতঃ বান্দার হুকুক সমূহ ও আদায় করতে হবে পরিপূর্ণ ভাবে। বান্দার হক আদায় করার ক্ষেত্রে,
আমরা এমন সব ভুল করে বসি,যা নিয়ে আসে আমাদের জীবনে ভয়ংকর সব বিপর্যয়।
আমার এই ছোট প্রবন্ধে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই তা হলো,পৃথিবীর কোন কোন ভূখণ্ডের মতো
আমাদের দেশে কোন কোন অঞ্চলে যে জাহিলি রসম প্রচলিত রয়েছে সেটি হলো,
বোনদেরকে পিতা-মাতার পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে কোন অংশ প্রদান করা হয় না
না ভাই নিজে বোনের অংশ বোনকে বুঝিয়ে দেয়,৷ আর না বোন তা দাবি করার সাহস করে।
আরো পড়ুন👉ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে মিরাছ বা উত্তরাধিকার সম্পত্তি
ঈমানী কমযোরী ও সহিহ ইলমের প্রচার প্রসার না থাকার কারণে মুসলিম সমাজে ও এই জাহিলি রসম অনুপ্রবেশ করেছে
এবং এতটাই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে যে, ভাল ভাল ” দীনদ্বার” পরিবারেও এ বিষয়ে যথেষ্ট উদাসীনতা লক্ষ করা যায়।
আরো পড়ুন👉দ্বীন শিক্ষার গুরুত্বঃ আল্লামা মনজুর নোমানী
এমনকি- আল্লাহর পানাহ –
কেউ এটিকে একটি নীতি বানিয়ে নিয়েছেন যে,
মীরাস গ্রহন করার পর তাদের আর আসা- যাওয়ার অধিকার থাকে না
আসা-যাওয়া যদি করতেই হয় তাহলে মীরাস তারা পাবে না।
অথচ বোন- ফুফিদের ব্যপারে আত্নীয়তার দায়িত্ব পালন করা একটি স্বতন্ত্র ফরজ।
মীরাসের অংশের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। মীরাসে তাদের যে অংশ নির্ধারিত রয়েছে সেটা তাদের প্রাপ্য।
আরো পড়ুন👉নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় মহানবী সাঃ এর অবদান
এর সাথে আত্নীয়তার দায়িত্ব পালন করার বিষয়টিকে যুক্ত করা কিভাবে বৈধ হতে পারে?
তারা যদি মীরাসের অংশগ্রহন করেন তবে উত্তম কাজ করেছেন। এজন্য তাদের কে মোবারকবাদ দেওয়া উচিত।
এবং তাদের দেখা-শোনা,আদর-আপ্যায়ন আরো বেশি করে করা উচিত।
আরো পড়ুন👉শরীয়তের আকিদা বিরোধী কয়েকটি কু-লক্ষনের তালিকা
অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে,মীরাসের অংশ দাবি করা বা তা গ্রহন করার কারণে
এ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যে,এখন আর আত্নীয়তার কোন দায়িত্ব নেই।
আত্নীয়তার সকল দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্তি মিলেছে।এটা শুধু একটি চরম ভ্রান্তি নয়, জঘন্য ধরনের জাহেলি রসম।
যার সম্মুখে অন্য বহু রসম ম্লান হয়ে যায়। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা
আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন।আমিন।