পীর ও মুর্শিদের ছোহবত এর প্রয়োজনীয়তা
আমাদের দেহের যেমন রোখ-ব্যাধি রয়েছে, তেমনি অন্তর তথা কলবের ও রয়েছে বিভিন্ন রোগব্যাধি।
দেহের রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ করার জন্য আমরা বিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই।
চিকিৎসক যে ঔষধ, পথ্য ও ব্যবস্থা দেন আমরা পূর্ণ যত্নের সঙ্গে তা মেনে চলি এবং সুস্থতা ও স্বাস্থ্য লাভ করি।
দেহের রোগ-ব্যাধির জন্য যেমন চিকিৎসক রয়েছেন তেমনি কলব তথা হৃদয় ও আত্মার রোগ-ব্যাধির জন্য রয়েছেন সুবিজ্ঞ রূহানী চিকিৎসক বা শায়খ, পীর মুর্শিদ।
তিনি মানুষের কলব এবং হৃদয় ও আত্মাকে দীর্ঘ চিকিৎসার মাধ্যমে ব্যাধিমুক্ত করেন।
দীর্ঘ দীর্ঘ রিয়াযাত-মুজাহাদার মাধ্যমে তিনি মানুষের নফসের ইছলাহ ও সংশোধন করেন।
রোগ ও রোগীর অবস্থা অনুযায়ী শায়খ ও মুর্শিদ যাকে যেমন প্রয়োজনীয় আধ্যাত্মিক সাধনায় নিয়োজিত করেন,
যাতে কলবের তাযকিয়া হাসিল হয় এবং ইহসানের হালত পয়দা হয়। আমাদের প্রত্যেকেরই কর্তব্য অন্তর্দর্শী শায়খের সন্ধান করা
এবং নফসের ইছলাহ ও কলবের তাযকিয়ার জন্য তার ছোহবত ও তারবিয়াত গ্রহণ করা।
কারণ নফসের ইছলাহ ও কলবের তাযকিয়া তথা ইহসানের মাকাম হাসিল করা ছাড়া নাজাত ও সফলতার আর কোনো পথ নেই। তাই কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-
قد افلح من زكها، وقد خاب من دسها.
(অর্থ) সেই সফলকাম হবে যে নিজের তাযকিয়ার ব্যবস্থা করেছে, আর সেই ব্যর্থ হবে যে নিজেকে কলুষিত করেছে।
আরো ইরশাদ হয়েছে-
قد افلح من تزكى، وذكر اسم ربه فصلى.
(অর্থ) অবশ্যই সফলকাম হবে যে তাযকিয়া ( আত্মশুদ্ধি) অর্জন করে, এবং আপন প্রতিপালকের নাম স্মরণ করে, আর নামাজ আদায় করে।