(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রতিটি বস্তুকে আপন স্থানে রেখে বিচার করা ইসলামের মৌলিক বৈশিষ্ট্য।এর মধ্যেই জাতি,শিক্ষা,সংস্কৃতি এবং জনগনের কল্যাণ নিহিত।
এই মৌলিক বস্তুটি যখন নষ্ট হয়ে যায়,তখন কল্যাণের ঠিক উল্টো দিকটা প্রকাশ পেতে থাকে।সমাজ সংস্কৃতি সবই বিনাশের মুখে পড়ে যায়।
এটিই নবী কারিম সা.হাদিসের মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছেন।
মানুষের মৌলিক চরিত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া-ই “আমানত” উঠে যাওয়ার মূল কারণ
হুযায়ফা রাঃ বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ” মানুষের হৃদয়ের গহীনে সর্বপ্রথম বিশ্বস্ততার অবতরণ হয়ে ছিল।
অতঃপর কোরআন নাযিল শুরু হলে মানুষ কোরআন ও হাদিসকে ধীরে ধীরে শিখতে শুরু করে।
এরপর নবীজী বিশ্বস্ততা উঠে যাওয়ার কথা বলেছিলেন, মানুষ শয়নে যাবে,ঘুমের মধ্যেই বিশ্বস্ততা উঠিয়ে নেয়া হবে।
কিন্তু তার প্রভাব অন্তরে থেকে যাবে
এরপর মানুষ শয়নে যাবে আবারো তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেয়া হবে, কিন্তু তার সুক্ষ্ম ছাপ অন্তরে থেকে যাবে।
জলন্ত টুকরো চামড়ায় পতিত হলে যেভাবে চামড়া ফুলে যায়,কিছুদিন পর তা শুকিয়ে গেলে যেরকম তার দাগ থেকে যায়,
অথচ ভিতরে কিছুই নেই,এরপর শুকনো কিছু নিয়ে চামড়ায় লাগিয়ে দেয়,ঠিক তেমনি…।
এরপর মানুষেররা বাজারে যাবে,কেনা-বেচা করবে কারো আমানত রক্ষা করবে না।
এমনকি বিস্ময় কন্ঠে মানুষ বলতে থাকবে অমুক গোত্রে একজন বিশ্বস্ত লোক রয়েছে।
কাউকে সম্বোধন করে বলা হবে লোকটা কতবড় জ্ঞানী,কত ভদ্র,কত সুশীল;অথচ তার অন্তরে বিন্দু মাত্র ঈমান নেই
হুযায়ফা রাঃ বলেন এমন এক সময় ছিল যখ যে কাউকে বায়আত করার সুযোগ থাকতো (আমানদারীর ফলে,)কিন্তু এখন
(আমানত উঠে যাওয়ার ফলে) অমুক অমুক ছাড়া আমি কাউকে বায়আত করব না।
নোটঃ
সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকেরা যখন বিশ্বাসঘাতক হয়ে যায়,তখন নেতৃত্ব -ও ঘাতকদের হতে চলে যায়।
আর তখনই বিশ্বস্ত ব্যক্তির বিবিলুপ্তি ঘটে।বর্তমানে প্রতিটি স্থানে,প্রতিটি দেশে বিশ্বাসঘাতকতা ছেয়ে যাওয়ার ফলে যা ঘটে, তা কারো অজানা নয়।
কিয়ামতের এই নিদর্শনটি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সামাজিক পদ,স্কুল-কলেজ এমনকি সরকারি মন্ত্রনালয় পদেও আজ অযোগ্য ব্যক্তিদের ছড়াছড়ি।
যে সকল পদে আমানতদার (বিশ্বস্ত) ব্যক্তিদের দরকার ছিল, সেখানেই বিশ্বাসঘাতকরা সাপের মত ফনা তুলে বসে আছে।