(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
নামাজে রুকু, আদায়ের পর সোজা দাঁড়ানো ওয়াজিব। যাকে ক্বাওমাহ বলা হয়। ক্বাওমাহ শেষে কাজ হল সেজদায়ে যাওয়া।
যার শরীয়ত নির্ধারিত নিয়ম রয়েছে। আর তা হলো- সেজদায়ে যাওয়ার সময় বুক ও মাথা নীচের দিকে না ঝুঁকানো;
বরং স্বীয় কোমর, বক্ষ ও মাথা সোজা রেখেই সরাসরি সেজদায়ে চলে যাওয়া। কোমরে যেন কোন ধরণের ভাজ সৃষ্টি না হয় সেদিকে পূর্ণ যত্নবান থাকা।
কেননা, সেজদায়ে যাওয়ার পথে শরীরের উপরিভাগ যদি এতটুকু ঝুকে পড়ে যে, হাত হাটু পর্যন্ত পৌছে যাবে,
তাহলে এতে ক্বাওমাহ এবং সেজদা এর মধ্যখানে আরো একটি রুকু হয়ে যাবে।
কারণ, হাত দুটি লম্বা করলে তা হাটু পর্যন্ত পৌছে যাবে ঠিক এই পরিমাণ নত হওয়াই হচ্ছে রুকুর হাক্বীক্বত।
বিধায়, সেজদায়ে যাওয়ার সময় হাটু মাটিতে লাগার আগ পর্যন্ত নিজ কোমর, বক্ষ তথা শরীরের উপরিভাগ পূর্ণ সোজা রাখতে হবে।
অন্যথায়, প্রতি রাকাতে রুকুর সংখ্যা একের স্থলে দুই হয়ে যাবে। আর কোন রাকাতে একাধিক রুকু হয়ে যাওয়া যে কত বড় ত্রুটি তা অবশ্যই সহজে অনুমেয়।
(দেখুন-ফাতাওয়ায়ে-শামী-১/৪৯)
সেজদায়ে যাওয়ার সময় হাটুতে হাত রাখা
সেজদাহ থেকে উঠার সময় হাটুতে হাত রাখা মুস্তাহাব। তবে সেজদাহ এ যাওয়ার সময় হাটুতে হাত রাখা কোন প্রমাণ শরীয়তে নেই।
অধিকন্তু, এতে রয়েছে আরও দুটি সমস্যা।
(ক) হাটুতে হাত রাখার প্রচলন থাকলে জনসাধারণ এটিকে মাসনুন অথবা মুস্তাহাব বলে ধারণা করে ফেলবে।
(খ) সেজদায়ে যাবার পথে হাটুতে হাত রাখলে কোমরে ভাজ সৃষ্টি হয়ে শরীরের উপরিভাগ ঝুকে পড়বে। যা মাসনুন তরীকার খেলাফ।
বিধায়, ক্বাওমাহ থেকে সেজদায়ে যাওয়ার প্রাক্ষালে হাটুতে মোটেই হাত রাখতে নেই।
(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৫০)
আরো পড়ুন:👇👇👇👇👇