(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
নিয়ত নামাজের জন্য শর্ত। নফল, সুন্নত এবং তারাবীহের জন্য শুধুমাত্র নিয়তই যথেষ্ট।
আর ফরয ও বিতরের ক্ষেত্রে তাকবীরে তাহরীমার সাথে সাথে নির্দিষ্ট করে নিয়ত করা শর্ত।
অর্থাৎ এ কথা জানা থাকা যে, আমি জোহরের নামাজ পড়ছি না-কি আসরের নামাজ পড়ছি। মুক্তাদির উপর ইমামের ইকতেদার নিয়ত করাও ফরয।
রাকআতের সংখ্যার নিয়ত করা শর্ত নয়। নামাজের জন্য নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত ছাড়া নামাজ হয় না।
নফল, সুন্নত ও তারাবীতে শুধুমাত্র, আমি নামাজ পড়ছি, এ নিয়ত করলেই চলবে। কিন্তু ফরজ ও বিতর নামাজের জন্য,
তাকবীরে তাহরীমার সঙ্গে সঙ্গে এ নিয়ত করতে হবে যে, আপনি কোন ওয়াক্তের কোন নামাজ আদায় করছেন।
যেমন- এ নিয়ত করতে হবে যে, আমি জোহরের ফরজ নামাজ আদায় করছি। শুধুমাত্র ফরজ পড়ছি, এ নিয়ত করলে হবে না।
নিয়ত অর্থ মনের সংকল্প। মনের সংকল্পটাই ফরজ। নিয়তের জন্য মুখে কিছু বলা আবশ্যক নয়।
মনে রাখতে হবে যে, মনে মনে নিয়ত করা ফরজ।
মুখে বলা নয়। আর বাংলা বা আরবীতে মুখে নিয়তের উচ্চারণ করা জরুরী নয়।
এমন দেখা যাচ্ছে যে, কিছু মানুষ নামাজের মাসাঈল না জানার কারণে নামাজে এমন কিছু ভুল করতেছে যার দ্বারা তার নামাজ যাচ্ছে বিফলে।
যেমন- ইমাম সাহেব নামাজ আরম্ভ করে প্রথম রাকাতের ক্বেরাত শেষ করে রুকুতে যাওয়ার পথে,
এমন সময় একজন মুসাল্লী এসে কাতারে দাঁড়ালো,
এবং সে নামাজের নিয়ত আরবী হোক বা বাংলা হোক পড়তেছে, আর সেদিকে ইমাম সাহেব রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ শান্তভাবে পড়ে দাঁড়িয়ে গেলেন।
ঐ হতবাগা মুসাল্লীর কপালে এই রাকাত আর পাওয়া হল না!
এখানে চাইলে মুসাল্লী ঐ রাকাত পেয়ে যেতেন, যদি উনি বাংলা হোক বা আরবী হোক মুখে বলা নিয়ত কে প্রাধান্য না দিতেন।
কিন্তু উনি মনে করছেন নিয়ত যদি আমি মুখে বলে না করি তাহলে মনে হয় আমার নামাজ শুদ্ধ হবে না।
জানার অভাব, তাই আমরা এই বিষয়ে সতর্ক থাকতাম।