(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
ইসলামের দর্শন হল, স্ত্রী যখন স্বামীর ঘরে আসে,সে তার রিযিক নিয়ে আসে।
পুরুষরা একটা কথা স্বীকার করবে যে,বিয়ের পূর্বে যে পরিমাণ উপার্জন করত,বিয়ের পর তা বেড়ে যায়।
মহান আল্লাহ তাআলা তার রিযিকে বরকত দেন। বাড়িয়ে দেন।সন্তান হলে আরো বাড়িয়ে দেন।দিতীয় সন্তান হলে আরো বাড়িয়ে দেন।
আল্লাহ তাআলা এভাবেই বন্টন করে রেখেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন:
نحن قسمنا بينهم معيشتهم في الحياة الدنيا
অর্থাৎ পার্থিব জীবনে আমি তাদের জীবিকাও তো বন্টন করেছি। (সুরা যুখরুফ ৩২)
এজন্য দেখা যায় অনেক ছেলেরা বিবাহের পূর্বে গরীব ছিল। কিন্তু বিয়ের পর তার ভাগ্য খুলে গেছে,সম্পদশালী হয়েছে।
মোটকথা স্ত্রী তার ভাগ্য তার সাথে করে নিয়ে আসে।
ইসলাম ধর্ম নারীদের প্রতি অনেক দয়া করেছে।তাদের সব ধরনের অধিকার দিয়েছে।
পুরুষদেরকে নিয়ম বেধে দিয়েছে -বিয়ে না করে নারীর কাছে যেতে পারবেনা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলে গেছেন।
এজন্য নারীদের উচিৎ,প্রতিদিন দুরূদ শরীফ পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হাদিয়া(উপঢৌকন+গিফট)দেয়া।
এবং দোয়া করা, হে আল্লাহর প্রিয়তম বন্ধু!আমাদের পক্ষ হতে সালাম গ্রহণ করুন।
জাহেলী (বর্বরতার)যুগে যে জাতিকে জীবন্ত মাটিচাপা দেয়া হত,আপনি তাদেরকে পরিত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকারী বানিয়েছেন।
আপনি বলেছেন
الجنت تحت اقدام الامهات
(মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত)
আপনি বিদায় হজের ভাষনেও আমাদের স্মরণ রেখেছেন।নারীদের সাথে উত্তম ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন।
এজন্য আল্লাহ তাআলা আপনাকে আমাদের পক্ষ হতে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন