(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
ইসলাম ধর্ম নারীদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৈবাহিক জীবনে স্ত্রী স্বামীর জন্য আল্লাহর নৈকট্য লাভে সহযোগী হয়ে থাকে।
বলা হয় নারী মানব জীবনের অর্ধেক। আর বাকি অর্ধেক জিবনের ভাঙ্গা-গড়ার ক্ষেত্রেও তার প্রভাব থাকে।
যে সমাজে বিয়ে নেই,সে সমাজে নারী-পুরুষ পরস্পরে বন্ধুত্বের জীবন-যাপন করে।
বয়ফ্রেন্ড এবং গার্লফ্রেন্ড হয়ে থাকে। ইসলামে এগুলো হারাম।কবিরা গুনাহ।
নারী-পুরুষ কেবল বিয়ের মাধ্যমেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে়ন জীবন-যাপন করতে পারে,একজন অপরজনের কাছে আসতে পারে।
বাস্তবতা হলো যেসব দেশে বন্ধুত্বের জীবন-যাপনের প্রথা রয়েছে,সেসব দেশে নারীরা অত্যন্ত পেরেশান।
কারণ ক্ষনিকের সাথী ভুরি ভুরি।
অভাব নেই।কিন্তু সারাজীবনের সাথী মেলা ভার।দূষ্কর।ভর যৌবনে নারী অনেকের সাথে সময় ব্যয় করতে পারে।হাত বাড়ালেই বন্ধু পেয়ে যায়।
কিন্তু বয়স যখন একটু বেড়ে যায়,ত্রিশ পার হয়ে যায়,তখন জিজ্ঞাসা করারও আর কেউ থাকে না।
এমন নি:সঙ্গ হয়ে পড়ে যে,একাকিত্বের কারণে মানসিক রুগী হয়ে পরে।এসব মহিলাদেরকে যখন কুশল জিজ্ঞাসা করা হয় তখন বলে life is very different.
যার সাথে কিছুদিন কাটিয়েছে, তার সন্তান রয়েছে। কিন্তু সে তা দায়িত্ব নেয়নি।সন্তানদের দেখা-শুনা করে না। বাধ্য হয়েই মহিলা সন্তানদের দেখা-শুনা করতে হয়।
এদের ভরণপোষণের ব্যবস্থাও করতে হয় তাকেই।
আর এজন্য তাকে প্রতিদিন অফিস করতে হয়।উপার্জন করতে হয়।
ছেলে-মেয়েদের লালনপালন করতে হয়।
বাসা বাড়ী পরিস্কার করতে হয়।
রান্না-বান্না করতে হয়।
সংসারের সব কাম সামলাতে হয়।
এভাবে তাদের বোঝা শুধুই বেড়েছে।এটা নারী জাতির সাথে সুস্পষ্ট অবিচার।
পুরুষরা তাদের স্বার্থ হাসিল করে,তাদের দায়িত্ব নেয়না।সন্তানদের দেখা-শুনা করে না।নারীরা তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি পায় না।
মোটকথা ধূর্ত পুরুষরা স্বাধীনতার নামে খুব সুক্ষ্মভাবে ধোকা দিয়ে নারীদের ঘর থেকে বের করে এনে তাদের খেলনায় পরিনিত করেছে।তাদেরকে ভোগের পন্য বানিয়েছে।