(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
একটি পশু দ্বারা কুরবানীদাতা অংশীদারদের মধ্যে কারো অংশ যদি এক সপ্তমাংশের কম হয়, তবে কোন অংশীদারের কুরবানীই শুদ্ধ হবে না।
মাসআলা:
দুই ব্যক্তি একত্রে আধাআধিহারে যদি একটি গরু ক্রয় করে তবে বিশুদ্ধ বর্ণনামতে কুরবানী সহীহ হবে।
কুরবানীর গোশত ওজন করে বণ্টন করবে, অনুমান করে বণ্টন করা জায়েজ নেই। তবে গোশতের সঙ্গে মাথা, পা, চামড়া ইত্যাদি কোন কিছু মিলিয়ে দিলে অনুমানের দ্বারা বন্টন করা জায়েজ হবে।
মাসআলা:
পৃথক পৃথক বসবাসকারী দুই-তিন বাড়ীর লোক যদি একটি গরু ক্রয় করে কুরবানী দেয়, তবে কুরবানী দাতাদের সংখ্যা সাতজন বা সাতজনের কম হলে জায়েজ হবে।
আর ইমাম মালেক রহ.- এর মতে এক পরিবারস্থ লোকের ক্ষেত্রে সাতজনের বেশী হলেও জায়েজ হবে।
তবে দুইপরিবারের পক্ষে থেকে কুরবানী দিলে সাতজনের কম হলেও জায়েজ নেই।
মাসআলা:
দুই ব্যক্তি মিলে একটি উট খরিদ করার পর তার মধ্যে কোন একজন যদি গোশত খাওয়ার নিয়ত করে তবে কুরবানী জায়েজ হবে না।
অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি মেহমানদারীর উদ্দেশ্যে বা ঘরের লোকদের খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানীর মধ্যে শরীক থাকে এবং কুরবানীর নিয়ত না করে থাকে,
তবে এমতাবস্থায় কারো কুরবানীই সহীহ হবে না।
মাসআলা:
যায়েদ কুরবানীর উদ্দেশ্যে একটি গরু ক্রয় করল, অত:পর আরো ছয় ব্যক্তিকে এতে শরীক করে নিল, তাহলে এটা মাকরূহ হবে।
তবে এ ক্ষেত্রে মাকরূহ তখনই হবে, যখন কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কারী নিসাবের অধিকারী হয়। দরিদ্র হলে নিজের জন্য খরিদকৃত পশুর মধ্যে অন্যকে শরীক করা জায়েজ নেই।
এক শরীক খৃষ্টান হলে কি কুরবানী জায়েজ হবে?
সমস্ত শরীকের মধ্যে একজনও যদি খৃষ্টান (বা অমুসলিম) থাকে, তবে কারো কুরবানী জায়েজ হবে না।
সাত শরীকের একজন কুরবানীর পূর্বে মারা গেলে তখন কি হুকুম হবে?
সাত ব্যক্তি কুরবানীর উদ্দেশ্যে একটি গরু ক্রয় করল; কিন্তু তন্মধ্যে একজন কুরবানীর সময় আসার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করল,
এমতাবস্থায় মৃত ব্যক্তির সকল ওয়ারিশ যদি (উক্ত পশু কুরবানী করার) অনুমতি দেয় তবে কুরবানী জায়েজ হবে; অন্যথায় জায়েজ হবে না।
তবে ইমাম আবু ইউসুফ রহ.- এর এক বর্ণনামতে অনুমতি প্রদান করলেও জায়েজ হবে না।
যদি মাইয়েতের ওয়ারিশ ও উম্মে ওয়ালাদ নিজ নিজ পক্ষ হতে কুরবানী করে তাহলে জায়েজ হবে।