(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
শহরবাসীদের (আমাদের দেশের গ্রামও) জন্য কুরবানীর পশু যবেহ করার সময় আরম্ভ হয় ঈদের নামাজের পর থেকে।
আর পল্লী অঞ্চলের লোকদের জন্য (যেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় না) ঈদের দিন সুবহে সাদেকের পর থেকে।
আর শেষ সময় হলো তৃতীয় দিন (১২ তারিখের) সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। তবে ইমাম শাফেয়ী রহ.-এর মতে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কুরবানী করা জায়েজ।
সুতরাং শহরবাসীদের কখনোই ঈদের নামাজের পূর্বে কুরবানী করা জায়েজ নেই। কিন্তু পল্লীবাসীদের জন্য জায়েজ হবে।
কেউ ওয়াজিব, কেউ নফল কুরবানীর নিয়ত করলে কি কুরবানী হবে?
সাত ব্যক্তি যৌথভাবে একটি গরু ক্রয় করল, তন্মধ্যে চারজন ওয়াজিব আদায়ের নিয়তে কুরবানী করল,
আর বাকী তিনজন নফল কুরবানীর নিয়ত করল, তখন সকল ইমামের মতে কুরবানী হয়ে যাবে।
কুরবানীর জন্তু জবাই করার মুহুর্তে ত্রুটিযুক্ত হয়ে পলায়ন করলে কি করবে?
কুরবানীর জন্তু জবাই করার মুহুর্তে যদি ত্রুটিযুক্ত হয়ে পলায়ন করে এবং সঙ্গে সঙ্গে আবার পাকড়াও করা হয়।
তবে ইমাম আযম রহ.-এর মতে এটিই কুরবানী করা জায়েজ। আর ইমাম মুহাম্মদ রহ.-এর মতে বিলম্বে পাওয়া গেলেও তা দ্বারা কুরবানী করা জায়েজ হবে।
কোন বকরী যবেহ করার জন্য শোয়ানো হলো কিন্তু শোয়ানোর সময় বকরীর নড়াচড়া কারণে পা ভেঙ্গে গেল, তাহলে সেটি কুরবানী করা জায়েজ আছে।
কুরবানীর জন্য ক্রয়কৃত জানোয়ার মরে গেলে, হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে তার হুকুম কি?
কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত ধনী ব্যক্তির জানোয়ার মরে গেলে অন্য আরেকটি কুরবানী করা ওয়াজিব, তবে গরীব ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব নয়।
তবে কারো কুরবানীর পশু হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হয়ে যাওয়ার জানোয়ারটি পাওয়া গেল, এমতাবস্থায় মালদারের এখতিয়ার আছে,
যেটি ইচ্ছা কুরবানী করতে পারে। আর দরিদ্রের জন্যে উভয়টি কুরবানী করা জায়েজ।
জন্ম-মৃত্যুর ব্যাপারে কি কুরবানীর কোন সময় ধর্তব্য?
দরিদ্র হয়ে যাওয়া বা ধনী হওয়া, জন্মগ্রহণ করা এবং মৃত্যুবরণের বেলায় (শরীয়তের বিধানের যে পরিবর্তন হয়ে থাকে তা) কুরবানীর দিনের শেষ সময়টি পর্যন্ত ধর্তব্য হবে।
সুতরাং কেউ যদি কুরবানীর প্রথম দিনে দরিদ্র থাকে এবং শেষ সময়ে মালদার হয়ে যায়, তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।
অন্যদিকে কেউ কুরবানীর শেষ সময়ে যদি দরিদ্র হয়ে যায়, অথচ প্রথম সময়ে সে সম্পদশালী ছিল, কিন্তু কোন কারণে কুরবানী করতে পারলো না,
তাহলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়। আর যদি কোন ব্যক্তি শেষ মুহূর্তে জন্মগ্রহণ করে তবে তার উপরও (ধণী হলে) কুরবানী ওয়াজিব হবে।
যদি শেষ মুহূর্তে মৃত্যুবরণ করে তবে ওয়াজিব হবে না।
পশু যবেহের পর ইমাম ঈদের নামাজ বিনা অজুতে পড়িয়েছেন জানতে পারলে কি করবে?
কোন ব্যক্তি তার কুরবানীর পশু যবেহ করার পর জানতে পারল যে, ইমাম সাহেব বিনা অজুতে ঈদের নামাজ পড়িয়েছেন ;
এমতাবস্থায় শুধুমাত্র নামাজ পুনরায় পড়া ওয়াজিব হবে, কুরবানী পুনরায় করতে হবে না।