(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
যেসব প্রাণীর দুই চোখ অথবা এক চোখ অন্ধ বা এমন লেংড়া যে, যবেহ করার স্থান পর্যন্ত যেতে অক্ষম।
যার লেজ ও কান কাটা অথবা লেজ এবং কানের
একটি পশু দ্বারা কুরবানীদাতা অংশীদারদের মধ্যে কারো অংশ যদি এক সপ্তমাংশের কম হয়, তবে কোন অংশীদারের কুরবানীই শুদ্ধ হবে না।
মাসআলা:
দুই ব্যক্তি একত্রে আধাআধিহারে যদি একটি গরু ক্রয় করে তবে বিশুদ্ধ বর্ণনামতে কুরবানী সহীহ হবে।
নেই।
এমন পাগলা জানোয়ার যে ঘাস খায় না বা যে প্রাণী চর্মরোগ আক্রান্ত বা খুব বেশী দুর্বল,
যার লেজ অথবা কানের অধিকাংশ বা চোখের দৃষ্টিশক্তি অর্ধেকের বেশী রহিত হয়ে গেছে।
যে প্রাণীর দাত না থাকার কারণে ঘাস খেতে পারে না বা যে প্রাণীর স্তনের অগ্রভাগ কর্তিত অথবা শুকিয়ে গেছে,
শরীরে শক্তি সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে ঔষধ প্রয়োগে তার দুধ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এমন প্রাণী যেগুলি নাপাক ব্যতীত অন্য কিছুই ভক্ষণ করে না, এ সকল প্রাণী কুরবানী করা জায়েজ নেই।
মাসআলা:
খাসী করা প্রাণী, শিং ভাঙ্গা প্রাণী (তবে মূল থেকে উৎপাটিত নয়) বা যে প্রাণীর শিং জন্মগত ভাবেই নেই বা চর্ম রোগাক্রান্ত মোটাতাজা প্রাণী,
যে প্রাণীর বেশীর ভাগ দাত নেই, তবে ঘাস খেতে পারে।
এমন প্রাণী যার অধিকাংশ দাত বাকী আছে এবং যার কান বা লেজের বেশীর ভাগ অংশ রয়েছে বা যার খুর নেই বটে তবে চলাফেরা করতে পারে,
বা জন্মগত ভাবেই যার কান ছোট, এগুলির কুরবানী করা জায়েজ আছে।
বেশীর ভাগ নিরূপণের উপায় কি?
বেশীর ভাগ ও কম ভাগ নিরূপণ সম্পর্কে ইমাম আযম (রহ.) থেকে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। জামে সগীরের বর্রণা হলো, এক তৃতীয়াংশ কম ভাগ হিসেবে গণ্য হবে।
আর সাহেবাইন রহ. এর মতে যদি অর্ধাংশ অপেক্ষা অধিক কাটা হয় তাহলে বেশীর ভাগ কাটা বলে গণ্য হবে।
আর ফকীহ আবুল লাইস সমরকন্দী রহ.- এর গ্রহণীয় মত এটাই।
কুরবানীর নিয়তে সুস্থ বকরী ক্রয় করার পর দোষ সৃষ্টি হয় তাহলে কি করবে?
কোন মালদার ব্যক্তি সুস্থ ছাগল ক্রয় করার পর যদি তাতে দোষ সৃষ্টি হয়, তাহলে তার জন্য অন্য ছাগল কুরবানী করা ওয়াজিব।
আর দরিদ্র হলে তার জন্য ঐ ত্রুটিযুক্ত জন্তুটিই কুরবানী করা জায়েজ হবে।