(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
যদি নামাজের পরে এবং খুতবার পূর্বে যবেহ করে থাকে তাহলে কুরবানী হয়ে যাবে। তবে এটা অনুত্তম।
মাসআলা:
যদি কোন ওযর বশত: ঈদের দিনে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে শহরবাসীদের জন্য দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে ঈদের নামাজের পূর্বে কুরবানী করা জায়েজ।
মাসআলা:
ঈদের দিনে ইমাম সাহেব যদি নামাজ পড়াতে বিলম্ব করেন, তাহলে সূর্য (মধ্যাকাশ থেকে পশ্চিম গগনে) হেলে যাওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করে জাবাই করা উচিত।
মাসআলা:
কোন শহরে গণ্ডগোল-হাঙ্গামার কারণে ইমাম সাহেব উপস্থিত না থাকায় যদি ঈদের নামাজ পড়া না হয়,
তবে সেখানে সুবহে সাদিক হতেই কুরবানী করা জায়েজ হবে। এর উপরই ফতওয়া।
ঈদগাহে নামায আদায় হয়নি, তবে মসজিদে নামাজ আদায়কারী নামাজ শেষ করে ফেলেছে বা ঈদগাহে নামাজ আদায় হয়ে গেছে, কিন্তু মসজিদে নামাজ শেষ হয়নি।
এ উভয়াবস্থাই কুরবানী জায়েজ হবে। কুরবানীদাতা তখন নামাজ আদায় করে থাকুক বা না থাকুক।
মাসআলা:
কোন ব্যক্তি ইমাম সাহেবের সামনে ঈদের চাঁদ দেখা গেছে বলে সাক্ষ্য দেওয়ায় ইমাম সাহেব সেই মোতাবেক নামাজ পড়ালেন,
এবং জনসাধারণ (নামাজান্তে) কুরবানীও করে ফেলল। অত:পর জানা গেল যে, প্রকৃতপক্ষে সেদিন ছিল আরাফার দিন (৯ই জিলহজ্জ);
তথাপি নামাজ ও কুরবানী কোনটিই পুনরায় আদায় করতে হবে না।
কুরবানীর ব্যাপারে কোন স্থান ধর্তব্য?
কুরবানীর ক্ষেত্রে পশু যবেহ করার হুকুম হলো, যবেহের স্থান হিসেবে; কুরবানী দাতার বাসস্থানের হিসেবে নয়।
সুতরাং কুরবানীর পশু যদি পল্লী অঞ্চলে যবেহ করা হয় এবং কুরবানী দাতা তখন শহরে থাকে তবে উক্ত কুরবানীর পশু সুবহে সাদিকের সময় যবেহ করা জায়েজ হবে।
এর বিপরীত হলে জায়েজ হবে না।
শহরের কেউ যদি ফজরের নামাজের আগে জবাই করতে চায় তাহলে কি হবে?
শহরবাসী যদি ফজরের নামাজের পূর্বে কুরবানী করতে ইচ্ছা করে তবে তা জায়েজ হওয়ার পদ্ধতি হলো, কুরবানীর পশু শহরের বাইরে (যেখানে ঈদের জামায়াতে পড়া জায়েজ নেই সেখানে) পাঠিয়ে দেবে।
যাতে ফজরের নামাজের পর জবাই করে নিতে পাতে। এরূপ করাটাই যুক্তি সঙ্গত।