(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
বিনা ওজরে কোন জিনিসের স্বাদ নেয়া বা কোন কিছু চিবানো মাকরূহ।
কিন্তু প্রয়োজনে শিশুদের জন্য খাদ্য চিবিয়ে দেয়া জায়েজ আছে। গরমের তীব্রতা দূর করার জন্য কুলি করা, নাকে পানি দেয়া,
এমনিভাবে গরম দূর করার লক্ষ্যে গোছল করা এবং ভিজা কাপড় শরীরে জড়িয়ে রাখা ইমাম আযম (রহ.)- এর মতে মাকরূহে তানযীহী।
কারণ এসব কাজ ধৈর্যহীনতার পরিচায়ক। তবে ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.)- এর মতে মাকরূহ নয়।
মাসআলা: কোন রোজাদার ব্যক্তি রাত্রে নাপাক হয়ে গেল আর ঐ নাপাক অবস্থায়ইভভোর হলো, তথাপি তার রোজা শুদ্ধ হবে।
তবে সকাল হওয়ার পূর্বেই গোসল সেরে নেয়া মুস্তাহাব।
মাসআলা: এ ব্যাপারে সকল ফেকাহ শাস্ত্রবিদ একমত যে, রোজা অবস্থায় মিথ্যা বললে, কারো গীবত বা নিন্দা করলে অথবা কাউকে গালি দিলে রোজা নষ্ট হয় না।
কিন্তু এ কাজগুলো শক্ত গোনাহের কাজ। তবে ইমাম আওযায়ী (রহ.)- এর মতে এগুলো করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির রোজা ভেঙ্গে যাবে।
নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা বলা ও গোনাহের কাজ পরিত্যাগ করলো না আল্লাহ তায়ালার নিকট ঐ ব্যক্তির রোজার কোন প্রয়োজন নেই, অর্থাৎ তার রোজা গ্রহণযোগ্য নয়।
সেহরী খাওয়া বা স্ত্রী সহবাস করা অবস্থায় সুবহে সাদিক হয়ে গেলে তার হুকুম কি
কোন ব্যক্তি খাওয়া-দাওয়া করছিল অথবা সহবাসরত অবস্থায় ছিলো, এমতাবস্থায় ফজরের ওয়াক্ত হতেই তার মুখ থেকে খাদ্যদ্রব্য ফেলে দিল।
আর সহবাস থেকে বিরত থাকল। এ ক্ষেত্রে জমহূর আলেমদের মত হলো, ঐ ব্যক্তির রোজা শুদ্ধ্য হবে।
ইমাম মালেক (রহ.)- এর মতে তার রোজা বাতিল হয়ে যাবে।