(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী নজর লাগার বিষয়টি সত্য,জান-মাল ইত্যাদির প্রতি বদ নজর লেগে তার ক্ষতি সাধিত হতে পারে।
আপনজনের প্রতিও আপনজনের বদ নজর লাগতে পারে। এমনকি সন্তানের প্রতিও মা-বাবার বদ নজর লাগতে পারে।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন العين حق(مسلم) অর্থাৎ নজর লাগা সত্য।
আর বাতাস লাগার অর্থ যদি হয় জিন-ভূতের বাতাস,অর্থাৎ তাদের খারাপ আছর বা বাতাস কিংবা নজর লাগা তাহলে এটাও সত্য; কেননা জ্বিন-ভূত মানুষের উপর আছর করতে সক্ষম।
নজর লাগলে যেসব জিনিস করনীয়
কেও কারো ভালো কিছু দেখে যদি ( ماشاءالله )মা-শা-আল্লাহ বলে তাহলে তার বদ নজর লাগবে না।
আর কারো উপর কারো বদ নজর লেগে গেলে যার লেগেছে বলে সন্দেহ হবে তার মুখ,হাত,(কুনুই সহ)হাটু,এবং কাপরের নিচের অংশ ধুয়ে,
সেই পানি রুগীর উপর ঢেলে দিলে ইনশাআল্লাহ ভাল হয়ে যাবে। এ কথার সমর্থন হাদীসে পাওয়া যায় যেমনঃ ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যে নজর লাগা সত্য।যদি কোন কিছু ভাগ্য অতিক্রম করতে পারতো তাহলে নজর তাকে অতিক্রম করতে পারতো।
তোমাদের কাউকে যখন ধূয়ে দিতে বলা হবে সে যেন ধুয়ে দেয়।
(মুসলিম)
যেসব জিনিস বর্জনীয়
বদ নজর থেকে হেফাজতের জন্য কালো রঙের সুতা (তাগা)বাধা কিংবা কাজলের টিপ লাগানো ভিত্তিহীন কুসংস্কার।