(মুসলিমবিডি২৪.ডটকম)
রোজা রেখেছে একথা ভুলে গিয়ে যদি কেউ খানাপিনা করে অথবা সহবাস করে তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
ঐ রোজা তাকে ক্বাযাও করতে হবে না। স্বপ্নদোষ হলে, কামোত্তেজনার দৃষ্টিতে কারো প্রতি দৃষ্টিপাত করায় ধাতু নির্গত হলে, শরীরে তেল মালিশ করলে,
চোখে সুরমা ব্যবহার করলে, কারো গীবত করলে, সিঙ্গা লাগালে, অনিচ্ছাকৃত অধিক পরিমাণ আর ইচ্ছাকৃত অল্প পরিমাণ বমি করলে,
কানের মধ্যে পানি প্রবেশ করলেও রোজা ভঙ্গ হবে না।
পুরুষাঙ্গে তৈলাক্ত পদার্থ প্রবেশ করালে এর হুকুম কি
রোজা অবস্থায় যদি পুরুষাঙ্গে তৈল বা অন্য কিছু প্রবেশ করায় তাহলে ইমাম আযম (রহ.) এর মতে রোজা ভঙ্গ হবে না।
তবে ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) এর মতে ভঙ্গ হয়ে যাবে।
যদি কেউ মৃত মহিলা বা চতুষ্পদ জন্তুর সাথে সহবাস অথবা কারো সামনের বা পিছনের রাস্তা ব্যতীত অন্য কোন অঙ্গে সহবাস করে,
অথবা কোন মেয়েলোককে চুম্বন করে বা তাকে কামোত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে, এ সকল ক্ষেত্রে যদি ধাতু নির্গত হয়।
তবে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে, অন্যথায় ভঙ্গ হবে না।
দাতের ফাকে আটকানো খাদ্য যদি হাত দ্বারা বের করে খেয়ে ফেলে এতে রোজা ভঙ্গ হবে কি
যদি খাদ্যদ্রব্যের কোন অংশ দাতে আটকে থাকে এবং তা হাত দিয়ে বের করে খেয়ে ফেলে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং ক্বাযা ওয়াজিব হবে।
কিন্তু কাফফারা ওয়াজিব হবে না। আর যদি জিহবার কিনারা দ্বারা বের করে খেয়ে ফেলে এবং তা ছোলা পরিমাণ হয়।
তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে এবং ক্বাযা ওয়াজিব হবে, যদি তা ছোলার চেয়ে ছোট হয় তবে রোজা ভঙ্গ হবে না।
একটা তিলের দানা পরিমাণ কোন বস্তু যদি মুখে নিয়ে গিলে ফেলে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে, আর যদি মুখে রেখে শুধু চিবায় তবে রোজা নষ্ট হবে না।
রোজা অবস্থায় বমি হলে এর হুকুম কি
যদি মুখ ভরে বমি আসে এবং তা ইচ্ছা করে গিলে ফেলে, তাহলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। যদি মুখে অল্প বমি আসে এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে ভিতরে চলে যায়।
তাহলে রোজা নষ্ট হবে না। মুখ ভরা বমি যদি অনিচ্ছাকৃত ভিতরে চলে যায়।
তাহলে ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) এর মতে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু মুহাম্মদ (রহ.) এর মতে নষ্ট হবে না।
আর অল্প পরিমাণ বমি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেলে তবে মুহাম্মদ (রহ.) এর মতে রোজা ভেঙ্গে যাবে,
আবু ইউসুফ (রহ.) এর মতে ভঙ্গ হবে না।