হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে বারণ করোনা।
তবে তাদের (নামাজের জন্য ঘরই উত্তম।
(আবু দাউদ)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, স্ত্রী লোকদের জন্যে তাদের ঘরের ভিতরের নামাজ তাদের ঘরের বাহিরের নামাজ হতে উত্তম।
(আবু দাউদ)
উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা
উপরোক্ত হাদীসের মর্মানুসারে মহিলাদের জন্যে পর্দাসহকারে মসজিদে হাজির হয়ে পুরুষের কাতার হতে আলাদা হয়ে জামায়াতের সহিত নামাজ,
আদায় করার অনুমতি দেয়া হলেও তাদের জন্যে স্বীয় গৃহে নামাজ আদায় করা অতি উত্তম তার দিকেই হুজুর (সা:) ইঙ্গিত করেছেন।
নফল নামাজ ঘরে পড়া উওম
হযরত জাবির (রা:( হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী কারীম (সা:) বলেছেন, যখন তোমাদের কেহ মসজিদে নামাজ আদায় করবে,
তখন যেন সে তার নামাজের কিছু অংশ (অর্থাৎ নফল বা সুন্নাত নামাজ) তার ঘরের জন্যে রেখে দেয়।
কেননা আল্লাহ এই নামাজের কারণে তার ঘরে কল্যাণ দান করবেন।
(মুসলিম)
হযরত যায়েদ ইবনে ছাবেত (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (সা:) বলেছেন, কোন ব্যক্তির ঘরে নামাজ আদায় করা আমার এই মসজিদে,
নামাজ আদায় করা হতে উত্তম, অব্যশই তা ফরজ নামাজ ব্যতীত।
(আবু দাউদ, তিরমিযী)
উপরোক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা নিম্নে করা হল
রিয়া মানুষের ইবাদতকে বরবাদ করে দেয়। রিয়াকার ব্যক্তি তার ইবাদতের কোন সওয়াব তো আল্লাহর কাছে পাবেই না।
বরং রিয়ার (প্রদর্শণীর) উদ্দেশ্যে কৃত এ ইবাদত তাকে গুনাহগারও করতে পারে।
জনসমক্ষে প্রকাশ্য জায়গায় অতিরিক্ত (নফল) নামাজ পড়ার কারণে নামাজী ব্যক্তির অন্তরে রিয়ার ভাব জাগরিত হতে পারে বলে,
আল্লাহর নবী (সা:) নফল নামাজ গোপনে ঘরে পড়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন।