Breaking News
Home / ইসলামিক নিউজ / যে কারণে মাওলানা সাদ বিতর্কিত ও তাকে মানা হারাম

যে কারণে মাওলানা সাদ বিতর্কিত ও তাকে মানা হারাম

কারণগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হল:

১) ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল ব্যবহার করা হারাম। কারো পটে ক্যামেরা মোবাইল নিয়ে নামাজ পড়লে তার সহীহ হবেনা।

২) যে উলামায়ে কেরাম ক্যামেরা মোবাইল ব্যবহার করেন,তারা হলেন উলামায়ে ছূ। বারবার কসম খেয়ে বলেন তারা হল উলামায়ে ছূ।

এমন রা হল গাধা।

৩) মোবাইলে কোরআন শরীফ পড়া ও শুনা উভটি, প্রস্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মত। পেশাবদানী ছে পানি পিনা হায়।

৪) কোরআন শরীফ দিয়ে যারা বেতন গ্রহণ করেন। এদের বেতন বেশ্যার উপার্যনের চেয়ে খারাপ।

যে ইমামগণ ও শিক্ষকরা কোরআন শরীফ শিক্ষা দিয়ে বেতন গ্রহণ করেন। এদের আগে বেশ্যারা বেহেশতে প্রবেশ করবে।

৫) মাদ্রাসাগুলিতে যাকাত দেয়া না হোক। মাদ্রাসায় যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা।

সারা বিশ্বের মাদ্রাসাগুলো যাকাত নিয়ে হারাম ও নাজায়েজ কাজ করছে।

৬) রাসূল (সা:) এর বাইয়্যাতের পর মাত্র তিন জনের বাইয়াত পূর্ণতা লাভ করছে। আর সবার বাইয়্যাত অপূর্ণ।

তিন জন হলেন ১) শাহ ইসমাইল শহীদ (রহ:) ২) মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস (রহ:) ৩) মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ (রহ:)

৭) মাওলানা সাদ বিভিন্ন ও মাহফিলে একাধিক বার সুন্নতকে তিন প্রকার বলে বয়ান করে থাকেন।

তিনটি সুন্নত নিম্নে উল্লেখ করা হল:

১ ইবাদতে সুন্নত, ২) দাওয়াতে সুন্নত, ৩) আচার-আচারণের সুন্নত।

৮) দাওয়াতের পথ নবী (সা:) এর পথ, তাছাওফের পথ নবী (সা:) এর পথ নয়।

৯) হল-তাশকীল নামাজ হল-তারগীব, আর নামাজের পর র রাস্তায় বাহির হওয়া হল-তারতীব।

১০) রাসূল (সা:) দাওয়াতে ইল্লাল্লাহর কারণে ইশার নামাজ দেরীতে পড়ছেন। অর্থাৎ নামাজ থেকে দাওয়াতের গুরুত্ব- প্রাধান্য বেশী।

১১) ইউসুফ (আ:) উযকুরনী ইনদা রাব্বিক,  বলে গাইরুল্লাহ এর দিকে নজর দেওয়ার কারণে অতিরিক্ত সাত বছর জেল কাটতে হইছে।

১২) হযরত মুসা (আ:) দাওয়াত ছেড়ে কিতাব আনার উদ্দেশ্যে তুর পাহাড়ে গিয়ে ছিলেন। তাই দাওয়াত ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে,

পাচ লক্ষ সাতত্তর হাজার মুসলমান মুর্তাদ হয়ে গেছিল।

১৩) হযরত জাকারিয়া (আ:) আল্লাহ কে ছেড়ে গাছের নিকট আশ্রয় নেওয়ায় শাস্তি ভোগ করতে হইছে।

১৪) হযরত মূসা (আ:) থেকে এক বড় ভুল হয়ে গেছে,(এই ইবারতটা হুবহু মওদুদী সাহেবের ইবারত)

এবং তিনি অপরাধ করে েছেন। এর জন্য তিনি কওম( জাতি) কে ছেড়ে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের জন্য নির্জনতা গ্রহণ করলেন।

১৫) আমাদের কাজ (তাবলীগি) সাথে লেগে থাকা এবং মাওলানা ইলিয়াস ও মাওলানা ইউসুফ সাহেবের কিতাব পড়া, অন্য কিতাব পড়বেনা।

১৬) হযরত মূসা (আ:) কর্তৃক হযরত হারুন (আ:) কে নিজের স্থলাভিষিক্ত করা ঠিক হয়নি।

১৭) সকাল সকাল কোরআন মজীদ তেলাওয়াত করা এবং নফল নামাজ পড়ার একটা অর্থ বুঝে আসে।

কিন্তু আল্লাহ আল্লাহ জিকির করার মাঝে কি অর্জন হয়? কিছুই হয়না।

১৮) শুধু তাবলিগী কাজ ছাড়া, আর যত কাজ আছে যেমন: দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেওয়া,দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা, আত্নশুদ্ধি, ইসলামিক কিতাব রচনা করা, কোনটাই নবুওতের কাজ না।

১৯) মাদ্রাসার হুজুররা মাদ্রাসায় খেদমত করার কারণে, দুনিয়াবি (লোভে) ধান্দায় জড়িয়ে পড়ছে।

তাই তাদের দ্বীনের মেহনতে করা জরুরী (দরকার)

২০) কিয়ামতের দিন আল্লাহ বান্দাদের প্রশ্ন করবেন যে, তোমরা তালিমে বসছিলে কি? গাস্ত করছিলে করছিলে কি?

২১) যে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা তাবলীগে সময় লাগায় নাই অর্থাৎ  চিল্লা লাগায় নাই, তারা পূর্ণ মুসলমান নয়।

২২) মাদ্রাসায় পড়া ও পড়ানোর চেয়ে তাবলীগে সময় লাগানো জরুরি।

আরো অনেক কিছু আছে, এগুলো যদি কোন  মুসলমান  মানে ও বিশ্বাস করে তাহলে সে ঈমানদার থাকবেনা।
তাই মুসলমানরা উপরোক্ত গুলি থেকে সাবধান
বিশ্বের কোন আলীম উলামা এই কথা গুলিকে সমর্থন করেন নাই,বরং এই বলে ফতোয়া দিয়েছেন যে, এই কথাগুলি হল শরীয়ত বিরুধী।

কোরআন, হাদীস বিরুধী, এবং আলিম উলামারা আরো বলেন যে, এই কথা গুলি কোন মুসলমানের কথা নয়, এই কথা গুলি ইহুদি নাসারাদের কথা।

বিশ্বের অন্যতম বড় মাদ্রাসা দেওবন্দ থেকে লিখিত ফতোয়া দেওয়া হইছে, সাদ সাহেবের উপরোক্ত কথা গুলি শরীয়ত বিরুধী।

 

জনস্বার্থে পোস্টি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন।

 

আপনাদের কারো যদি সাদ সাহেবের বিতর্কিত কথা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জানা থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন।

পোস্টি পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক মোবারকবাদ।

পোস্টি কেমন হল: ভাল মন্দ কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

 

About Admin

আমার নাম: এইচ.এম.জামাদিউল ইসলাম ঠিকানা: সিলেট, বাংলাদেশ। আমি কোরাআনের খেদমতে আছি এবং MuslimBD24.Com সাইটের ডিজাইনার (Editor) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায়, তাই সময় পেলে দ্বীন ইসলাম প্রচারের সার্থে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখালেখি করি। যাতে করে অনলাইনেও ইসলামিক জ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞানহীন মানুষ, ইসলামিক জ্ঞান সহজে অর্জন করতে পারে। একজন মানুষ জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিজের জীবনকে ইসলামের পথে চালাতে গেলে ইসলাম সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করার দরকার, ইনশা-আল্লাহ! এই ওয়েব সাইটে মোটামুটি সেই জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। যদি সব সময় সাইটের সাথে থাকে। আর এই সাইটটি হল একটি ইসলামিক ওয়েব সাইট । এ সাইটে শুধু দ্বীন ইসলাম নিয়ে লেখালেখি হবে। আল্লাহ তায়ালার কাছে এই কামনা করি যে, আমরা সবাইকে বেশী বেশী করে ইসলামিক জ্ঞান শিখার ও শিখানোর তাওফিক দান করুন, আমিন। তাজবীদ বিষয়ে কিছু বুঝতে চাইলে যোগাযোগঃ 01741696909

Check Also

তোহ্ফায়ে সুন্নাহ্

এস্তেঞ্জার আদব ও সুন্নতসমূহ   ১. এস্তেঞ্জাখানায় প্রবেশের পূর্বে বিসমিল্লাহ বলে মাথা ঢেকে নেয়া। (মুসান্নাফে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost