আংগুরের কাচা রস থেকে তৈরি মদ যদি নেশা সৃষ্টি করে এবং তাতে ফেনা ওঠে তবে তা নাজাসাতে গলিজা এবং নিশ্চিত হারাম।
এই হারামকে অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে। যে শরাব কাচা খেজুর অথবা কিসমিস থেকে তৈরি করা তাতে যদি নেশা সৃষ্টি হয়।
আর যদি ফেনা উঠে বা নেশা সৃষ্টির জন্য কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়,
তবে এই প্রকার শরাব নাজাসাতে খফীফা বা হালকা ধরণের নাজাসাত।
শরাব তৈরির উপায় হলো, আঙ্গুরের রস জ্বাল দিতে দিতে দুই তৃতীয়াংশ পানি শুকিয়ে যায়,
অবশিষ্ট রসটুকু নেশা সৃষ্টি হওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়।
যে শরাব কাচা বা শুষ্ক খেজুর জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয়,
অথবা মধু, ডুমুর, গম, যব, জাওয়ার বা অন্য কোন জিনিস হতে তৈরি শরাব যদি নেশা সৃষ্টি করে,
কিংবা যে আঙ্গুরের রস জ্বাল দিয়ে দুই তৃতীয়াংশ শুকিয়ে ফেলা হয়,
আর এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে এ ধরণের নেশা সৃষ্টিকারী সমস্ত শরাবই,
ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) -এর মতে হারাম। যদিও এ সকল শরাবের এক ফোটা পান করে থাকে।
এবং নাজাসাতে খফীফা (ইমাম মুহাম্মদ রহ.-থেকে দলীল)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবলেছেন : যে জিনিস বেশী পান করলে নেশা সৃষ্টি হয় তার এক ফোটা পান করাও হারাম।
নেশা,সৃষ্টিকারী সব ধরণের জিনিসই শরাবের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ হারাম ও নাপাক হওয়ার দিক দিয়ে তার হুকুম শরাবের মতোই।
ইমাম আব্য হানীফা (রহ.) এর মতে উপরোল্লিখিত চার প্রকার (মধু,খেজুরের রস,কিসমিসের পানি ও আঙ্গুরের রসে প্রক্রিয়াজাত শরাব) ব্যতীত,
উল্লেখিত শরাবসমূহও (গম,যব,জাওয়ার থেকে তৈরি শরাব) খেল-তামাশার উদ্দেশ্য পান করা হারাম।
তবে শক্তি অর্জনের জন্য পান করা জায়েজ। ইমাম আবু হানীফা (রহ.)- এর এ অভিমতটি ফেকাহবিদগণ গ্রহণ করেননি।
তারা এ ব্যাপারে ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) -এর মতের স্বপক্ষে ফতোয়া প্রদান করেছেন।