(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
জুমার সালাতের কয়েকটি বিধান
* জুমার নামাজ ফরজ ; বরং জোহরের নামাজের চেয়ে এ নামাজের তাকীদ বেশী। জুমার দিনে জোহরের নামাজ
নাই। জুমার নামাজকেই এর স্থলাভিষিক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
* জুমার নামাজ স্বাধীন, বালেগ, সজ্ঞান, সুস্থ, মুকিম, পুরুষদের ওপর ফরজ ; সুতরাং নাবালেগ বাচ্চা,
গোলাম, পাগল, অসুস্থ, অন্ধ, পঙ্গু এবং এমনিভাবে মাজুর, মুসাফির ও নারীদের ওপর জুমার নামাজ ফরজ
নয়।
* যদি কোনো ব্যক্তি জুমার সালাতের শুরু থেকেই ইমামের সঙ্গে সালাত আদায় করেন, তা হলে তিনি
ইমামের সঙ্গে জুমার দুই রাকাত সালাত আদায় করবেন।
* এমনকি যদি এক রাকাত ছুটে যাওয়ার পরও এসে ইমামের সঙ্গে জামাতে শরীক হন, তা হলেও তিনি জুমার
সালাতই আদায় করবেন। অর্থাৎ ইমাম সাহেব সালাম ফেরানোর পর তিনি বাকি এক রাকাত নিজে নিজে আদায়
করে নিবেন।
* কিন্তু যদি কেউ জুমার সালাতের জামাতে একেবারেই শরীক হতে না পারেন, তা হলে তার জন্য জুমার সালাত
আদায় করা জায়েয নেই। বরং তিনি তখন যোহর আদায় করে নিবেন। কেননা, জুমার সালাত জামাত ছাড়া একাকী
আদায় করার বিধান নেই।
* যদি কোনো ব্যক্তি মরুভূমি কিংবা জনমানবহীন কোনো প্রান্তরে অবস্থান করেন এবং জুমার সালাতের সময় হয়ে
যায়, তা হলে তার জন্য একাকী জুমার সালাত পড়া জায়েয হবে না। আমরা তাকে বলব না যে, আপনি
একাকীই সেখানে জুমার সালাত পড়ে নিন; নিজে নিজেই জুমার খুতবা দিন। না; আমরা তাকে এমনটি করতে বলব
না। বরং তিনি তখন যোহরের সালাত আদায় করে নিবেন। পরবর্তীতে জুমার কাযাও করতে হবে না।