(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
বগল ও নাভির নিচের পশম দ্বারা এক ধরনের বিশ্রী দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। নাভির নিচের প্রথম বার বার পরিষ্কার করার দ্বারা পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
এ কারণেই ইসলামী শরীয়তে মানুষের উপকার অর্থে নাভির নিচের পোষণ পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
যদি কেউ দীর্ঘসময় তা পরিষ্কার না করে তাহলে তার ইবাদত কবুল হবে না।
কারো কারো মতে প্রতি সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করতে হবে, কারো মতে 15 দিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে।
কারো মুখে চল্লিশ দিনে একবার পরিষ্কার না করলে তার সাথেই নাপাক হয়ে যায় যার কারণে তার ইবাদত কবুল হয় না।
হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহিমাহুল্লাহ বলেন নাভির নিচের পশম কেচি বা ক্ষুর দ্বারা কাটা বামুনদানো জায়েজ আছে।
এবং লুম নাশক ঔষধ দ্বারা নারী-পুরুষ বইয়ের জন্য পরিষ্কার করা জায়েজ আছে।
তবে পুরুষের জন্য ব্লেড বা খুরে জাতীয় দাঁরালো জিনিস দ্বারা পরিষ্কার করা উত্তম।
পুরুষ যদি ব্লেড বা ক্ষুর এজাতীয় দাঁড়ানো জিনিস দ্বারা নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করে তখন ওই স্থানে এক ধরনের মালিশ হয়ে যায় যা পুরুষের জন্য খুব উপকার হয়।
বর্তমান বিজ্ঞান ও ডাক্তারি সায়েন্স এটাই বলে যে নাভির নিচে পশম মুন্ডানো ভালো।
পুরুষ মহিলা উভয়ে নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করতে হবে পুরুষেরা ব্লেড অথবা খুর বা এ জাতীয় দারালো জিনিস দ্বারা পরিষ্কার করা উত্তম।
মহিলারা লুম নাশক ঔষধ দ্বারা পরিষ্কার করা উত্তম। হযরত মোল্লা আলী কারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন।
রাসুল সাঃ থেকে হারতাল বা নুরাহ পাউডার ব্যবহার করার প্রমাণ পাওয়া যায়। আল্লামা জালাল উদ্দিন রহমাতুল্লা এমনটি লিখেছেন।
ইবনে মাজা শরীফে হাদিস দ্বারা একতা প্রমাণ হয় যে রাসূলুল্লাহ সাঃ লোমনাশক ঔষধ ব্যবহার করতেন।
স্বামী যদি স্ত্রীকে নাভির নিচের পোষণ পরিষ্কার করতে বলে তাহলে স্ত্রীর জন্য জরুরি হল স্বামীর হুকুম মান্য করা অন্যথায় স্ত্রী গুনাগার হবে।
আরো পড়ুনঃ
আপনি কাকে বিয়ে করবেন, স্ত্রীলোক রাগান্বিত হলে কি করা উচিৎ, কাদের দোয়া বেশি কবুল হয়