(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
কোন এক এলাকায় অনেক পুরাতন একটি মসজিদ ছিল।
এই মসজিদটা অনাবাধি হয়ে গিয়েছিল।
এলাকার মানুষ ওই মসজিদে নামাজ পড়তো না কোন ধরনের ইবাদত করত না।
মসজিদের খোরাক হলো ইবাদত
আমরা যদি খাবার না খাই তাহলে একসময় আমরা দুর্বল হয়ে যাই।
তদ্রপ মসজিদে যদি ইবাদত করা না হয়, তাহলে মসজিদ ও দুর্বল হয়ে যায়।
এভাবেই ওই মসজিদ দুর্বল হয়ে গিয়েছিল।
দুর্বল হতে হতে একসময় মসজিদটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে
এত বিকট আওয়াজে কান্না করত যে, মসজিদের কান্নার আওয়াজে এলাকার কোন মানুষ রাতে ঘুমাতে পারতো না।
এলাকাবাসীর ধারণা ছিল এটি কোন জিন ভুতের কর্মকান্ড তাই তারা পরামর্শক্রমে
এক আলেমের কাছে নালিশ করে।তিনি একটি তাবলীগের জামাত নিয়ে ওই এলাকায় আসেন।
এসে দেখলেন ওই এলাকার মসজিদটি নামাজ না পড়তে পড়তে ঝুপড়িতে পরিণত হয়েছে।
তিনি ওই মসজিদটিকে পরিষ্কার করে সাথীদের নিয়ে মসজিদে অবস্থান করলেন।
রাতের বেলা সেই কান্নার আওয়াজ আসলে তিনি মসজিদের ছাদে চলে গেলেন।
এবং কান্নার বিবরণ জানতে চাইলেন, তখন মসজিদ বললো আপনাকে যদি তিন দিন খাবার দেয়া না হয়,
তাহলে আপনার দেহ চলবে? তিনি বললেন না। তখন মসজিদ উত্তর দিল,
এই এলাকাবাসী বছর কি বছর যায়, একদিনও তারা এই মসজিদে এবাদত করতে আসে না।
আমার খোরাক না পেয়ে আমি কান্নায় ভেঙ্গে পরি।
পরবর্তীতে তিনি এলাকাবাসী কে বুঝলেন।এবং নামাজের জন্য তৈরি করলেন।
এই ঘটনা থেকে আমাদের জন্য শিক্ষা হলো, মসজিদকে আবাদ করতে হবে।
মসজিদ আবাদ করার অনেক ফজিলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
একটি ফজিলত আমি উল্লেখ করছি।
যে ব্যক্তি একটি মসজিদ আবাদ করল, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি নির্মাণ করবেন। সুবাহানাল্লাহ।
মসজিদ আবাদ করার নাম মসজিদকে কারুকার্য দ্বারা সৌন্দর্য করা নয়।
ইবাদাত করে মসজিদের খোরাক দেয়ার নাম-ই মসজিদ আবাদ।
আরো পড়ুনঃ
মসজিদের জন্য মান্নত করার হুকুম, মসজিদে যেসব কাজ করা নিষেধ, বাড়ি থেকে মসজিদ দূরে হওয়ার ফজিলত