(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
প্রশ্নঃ অনেক সময় লোকেরা মসজিদের জন্য মান্নত করে। যেমন বলে, আমার অমুক কাজ সমাধা হলে মসজিদে একটি বকরি দিব।
এসব জানোয়ারের বিক্রীত অর্থ মসজিদের কাজে লাগানো জায়েজ হবে কিনা?
আর যদি জায়েজ না হয় তাহলে উক্ত টাকা পাওয়ার যোগ্য কে?
যদি মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন গরীব হয়, তাহলে তারা কি এর অর্থ গ্রহণ করতে পারবে?
উত্তরঃ মসজিদের নামে কোন কিছুর মান্নত হয় না।কারণ, মান্নতের টাকা সেসব খাতে ব্যয় করতে হয়, যেসব খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যায়।
আর মসজিদে যাকাতের টাকা ব্যয় করা যায় না। তাই মসজিদের নামে মান্নত সহিহ হয় না।
এতদ্বসত্ত্বেও যদি কেউ মসজিদে মান্নত করে তাহলে তা পূরণ করা জরুরী নয়।
তারপরও যদি কেউ আদায় করে তাহলে সেই মাল নফল দান হিসেবে গণ্য হবে এবং সেসব জিনিস বিক্রি করে টাকা মসজিদের কাজে ব্যয় করা যাবে।
আর উক্ত টাকা দ্বারা ইমাম মুয়াজ্জিনের বেতনও দেওয়া যায়। কিন্তু সরাসরি ইমাম মোয়াজ্জিন কে দেয়া যাবে না।
( প্রমাণ: দারুল উলূম ১২:১২৯# রদ্দুল মুহতার ৩:৩৭৫# ফাতাওয়ায়ে রাহমানিয়া ২:২৯৮)
{পাঠিয়েছেন, হাফেজ মাওলানা মুফতি ইমরান হুসাইন} মোবাইল: ০১৯৩১৪২৭৫১৮
দারুল হাদীস & মাস্টার্স, জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলূম বড় কাটারা মাদ্রাসা, চকবাজার, ঢাকা- ১২১১.
দারুল ইফতা & ইসলামীক আইন ও গবেষনা বিভাগ
জামিআতুস সাহাবাহ & বায়তুর রহিম মাদ্রাসা মসজিদ কমপ্লেক্স, উত্তরা মডেল টাউন,সেক্টর :৯ রোড নংঃ১১-১২,ঢাকা- ১২৩০
আরো পড়ুন 👇👇👇
সুদের টাকা মসজিদ মাদরাসা কিংবা গরীবদের দান করতে পারবে কি, মসজিদে যেসব কাজ করা নিষেধ,
বাড়ি থেকে মসজিদ দূরে হওয়ার ফজিলত