(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম পশু পাখির ভাষা বুঝতেন। আল্লাহ তাআলা তাকে পশু-পাখির ভাষা শিক্ষা দিয়েছিলেন। এমনকি বাতাসকে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর অনুগত করে দিয়েছিলেন।
তিনি যখন ইচ্ছা, যেখানে ইচ্ছা বাতাসকে আদেশ করতেন, বাতাস তাকে তার বিশাল সিংহাসন এবং লোকলস্করসহ সেখানে পৌঁছে দিত। যেখানে নামতে চাইতেন সেখানে নামিয়ে দিত এবং যখন ফিরে আসতে চাইতেন ফিরিয়ে দিয়ে যেত। (রুহুল মাআনি)
তাফসীরে ইবনে কাসীরে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালামের সিংহাসনের বাতাসে ভর করে চলার অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে, সুলাইমান আলাইহিস সালাম কাঠের একটি বিরাট ও বিস্তীর্ণ সিংহাসন নির্মাণ করেছিলেন।
তিনি পরিষদবর্গ, সৈন্য-সামন্ত ও যোদ্ধাস্ত্রসহ এই সিংহাসনে সওয়ার হয়ে বাতাসকে আদেশ দিতেন, বাতাস এই বিরাটাকায় প্রশস্ত সিংহাসন তুলে নিয়ে যেখানে আদেশ হত সেখানে পৌঁছে দিত।
তাঁর এই হাওয়ায়ী সিংহাসন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক মাসের দূরত্ব এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক মাসের দূরত্ব অতিক্রম করতো অর্থাৎ একদিনে দুই মাসের পথ এর সাহায্যে অতিক্রম করা যেত।
ইবনে কাসির বর্ণনা করেন, সুলাইমান আলাইহিস সালামের সিংহাসনের উপর ছয় লক্ষ আসন স্থাপন করা হতো। সুলাইমান আলাইহিস সালাম এর সাথে ঈমানদার মানুষ এবং তাদের পেছনে ঈমানদার জিনরাও উপবেশন করত।
এরপর সিংহাসনের উপর ছায়া দান করার জন্য পক্ষীপালকে আদেশ করা হতো, যাতে সূর্যের উত্তাপে কষ্ট না হয়। এরপর আদেশ অনুযায়ী বাতাস এই বিরাট সমাবেশকে যেখানে আদেশ হত সেখানে নিয়ে নামিয়ে দিত।
বর্ণিত হয়েছে যে, এই সফরের সময় সমগ্রপথে সুলাইমান আলাইহিস সালাম মাথা নত করে আল্লাহর জিকির ও শুকরে মশগুল থাকতেন। ডানে বামে থাকাতেন না এবং নিজ কর্মের মাধ্যমে বিনয় প্রকাশ করতেন।