(Muslimbd24.Com)
আদালতের মাধ্যমে বিবাহের প্রচলিত পদ্ধতি হল, ছেলে – মেয়ে উভয়ে রেজিস্টারএর কাছে নিকাহনামা তে দস্তখত করে দেয়।
আইনগতভাবে বিয়ে সম্পাদনের জন্য মৌখিক ঈজাব কবুল ও দু’জন সাক্ষীর উপস্থিতি আবশ্যক মনে করা হয় না,
শরীয়তে এভাবে বিয়ে সম্পাদিত হয় না।
যখন উভয়পক্ষই বাকশক্তি রাখে, তখন আবশ্যক হলো মৌখিক ইজাব কবুল হওয়া
এবং দুইজন মুসলমান পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকা।
যদি রেজিস্টার এর কাছে এ উভয়বিধ শর্ত পূর্ণ করে থাকে তবে তো বিয়ে শুদ্ধ/ বৈধ হবে,এবং তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক হালাল হবে,
অন্যথায় সম্পর্ক হারাম/ অবৈধ ও বিবাহ ফাসিদ হয়ে যাবে/ভেঙে যাবে।
আল্লাহ না করুন কেউ যদি এরূপ ফাসিদ পন্থায় বিয়ে করে নেয়,
তবে দু সাক্ষীর উপস্থিতিতে পুনরায় ইজাব কবুল করে বিয়েকে বৈধ করে নেয়া উচিৎ।
এমনিতেই রেজিস্টার এর মাধ্যমে বিবাহের এই পদ্ধতি ইসলামের বৈবাহিক বিধির মূল রুহানিয়াতের পরিপন্থী।
ইসলাম চায় বিয়ে প্রকাশ্যে হোক, অধিক থেকে অধিক প্রসার হোক,
লোকেরা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে হালাল ও বৈধ পদ্ধতির উপর যে বৈবাহিক সম্পর্ক হয়েছে এ ব্যাপারে অবগত থাকুক।
একথা সুস্পষ্ট যে বিবাহের প্রচলিত পদ্ধতিতে যদি মৌখিক ঈজাব কবুল হয়, সাক্ষীও উপস্থিত থাকে তবুও এ উদ্দেশ্যের পূর্ণতা যথাযথভাবে আদায় হয় না।
সহীহ বিবাহের সুরতে বিবাহের সকল বিধান প্রমাণযোগ্য থাকবে,
কিন্তু যদি বিয়ে ফাসিদ হয় এবং পুরুষ ঐ মহিলার সঙ্গে সহবাস করেই নেয়, তবে মহিলার বংশীয় মহারানা তাকে প্রদান করতে হবে।
অনুরূপভাবে এর ধারা সন্তান জন্ম নিলে সেই শিশুর বংশ এই পুরুষ থেকেই প্রমাণিত হবে।
সে তার জন্য মাহরাম সাব্যস্ত হবে, তবে ঐ সন্তান সেই পুরুষ থেকে মিরাছ পাবে না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে বুঝার তাওফিক দান করুন, আমীন।
তথ্য সুত্রঃ দুররে মুখতার ও রুদ্দুল মুহতার খন্ড:২ পৃষ্ঠা:৪৮৪