(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে জোড়া চুলের ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে। এটা নাজায়েজ এবং অবৈধ। সহীহ বুখারীর হাদিসে আছে-
ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لعن الوصيله والمستوصله”
যে চুল জোড়া দেয় এবং জোড়া দেয় উভয়ের উপর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিশাপ করেছেন” সুত্র বুখারী শরীফ খন্ড: ২ পৃ ৮৭৮
অন্য বর্ণনায় আছে- প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই চুল জোড়া দেয়ার ফ্যাশনকে ধোকা ও প্রতারণা সাব্যস্ত করেছেন।
সূত্র:বোখারী শরীফ খন্ড২ পৃ ৮৭৯,মুয়াবিয়া (রাযি:) থেকে বর্ণিত।
এমনকি কোন কোন যুবতী কন্যার জন্য এটার অনুমতি প্রার্থনা করা হয়েছে,
যাদের সদ্য বিয়ে হয়েছে এবং অসুখের কারণে তাদের মাথার চুল পড়ে গেছে
তা সত্বেও প্রিয় নবী (সা:) অত্যন্ত কঠোরভাবে এটা থেকে নিষেধ করে দিয়েছেন। বুখারী শরীফ:খ/পৃ: ২/৮৭৯,
তবে যদি এর জন্য সুতা বা কাপড় ব্যবহার করা হয় তাহলে এটার অনুমতি আছে, যেমন ফিতা খোপা ইত্যাদি।
আবু দাউদ শরীফে (খ.২পৃ. ৫৭৪) হযরত সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রাযি.) হতে বর্ণিত আছে “لا باس بالتواصل” অর্থাৎ অন্য বস্ত (ফিতা/খোপা) লাগানোতে সমস্যা নেই,
ফতোয়ায়ে আলমগিরিতে আছে -“চুলের সাথে অন্য চুল জোড়া দেয়া হারাম”।
চাই তা নিজের বিচ্ছিন্ন চুল হোক অথবা অন্য কোন মেয়ে লোকের হোক।
তবে মহিলাদের জন্য নিজের চুলের সঙ্গে অন্য পশুর চুলের কিছু অংশ জোড়া দেয়াতে কোন অসুবিধা নেই।
নাজায়েজ হওয়ার কারণ
উল্লেখ্য যে- চুলের সঙ্গে চুল জোড়া দেয়া হারাম।
প্রথমত: এই কারণে যে এতে প্রতারণা রয়েছে। দ্বিতীয়তঃ এই জোড়া দেয়ার কাজে এমন একটি জিনিস ব্যবহার করা হয়,
যার পাক বা না পাক হওয়া নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
এটা ব্যতীত অন্যান্য সুরত সমূহ হারাম নয়, তথা ফিতা খোপা ইত্যাদি ।কারণ সেগুলোতে নিষিদ্ধতার কোন কারণ নেই,
তাছাড়া এর দ্বারা কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়াই উপকারিতা অর্জন করা যায় কেননা এর দ্বারা মহিলা নিজেকে স্বামীর জন্য সজ্জিত শোভিত করে রাখতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
মেয়েদের মাথার চুল কাটার বিধান, বিধর্মীদের অনুকরণ পরিহার করুন, নারীরা কোন ধরনের পুরুষ কে বেশি পছন্দ করে