(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
কুসংস্কারে আচ্ছাদিত কোরবানি
কোরবানির জন্তুর পায়া, গোশত ইত্যাদি কসাইকে এবং মাথা জবাইকারীকে দেওয়ার রীতিও একপ্রকার রসুম- কুসংস্কার!
এই কাজটিকে দাতা ও গ্রহীতা উভয়ই অবশ্যই পালনীয় মনে করে।
পালন না করলে অনেক লোকের নিন্দাবাদ শুনতে হয়।
এই অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেক সময় কসাই মালিকের বিনা অনুমতিতে উহা নিয়ে যায়।
শরীয়তে এই কাজ আবশ্যক হওয়ার কোন দলিল
নাই! চিন্তা করলে দেখা যাবে এই কাজের ফলে অনেক বড় বড় খারাবি দেখা দেয়।
ফিকাহের মূলনীতি অনুযায়ী কোনো কাজ অত্যধিক
প্রচলিত হয়ে গেলে উহা বিনা শর্তারোপে শর্তারোপের মতো হয়ে যায়।
যেমন কারো সাথে যদি এই শর্তে চুক্তি করা হয় যে,
তুমি আমার এই কাজ করে দিলে আমি তোমাকে এতো টাকা বিনিময় প্রদান করব। তা হলে সেই বিনিময় পারিশ্রমিক হিসেবে গণ্য হবে। আর
পারিশ্রমিক শ্রম গ্রহীতার দায়িত্বে ঋণ স্বরূপ।
ইহা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম এই ক্ষেত্রে কোরবানির জন্তুর অংশ দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা
হচ্ছে। ইহাও একপ্রকার বিক্রি। যা সুস্পষ্ট হারাম।
কোরবানির জন্তুর সামান্যতম অংশও বিক্রি করা যাবে না। কেবল দান করা যাবে।
তেমনিভাবে কোরবানির চামড়া মসজিদের মুয়াজ্জিনের হক আছে বলে মনে করাও দূষণীয়।
এই সমস্ত কুসংস্কার পালন চিরতরে বন্ধ হওয়া উচিত!
অনির্ধারিতভাবে কোন প্রকার অমূলক বিশ্বাসের বশবর্তী না হয়ে মালিক যাকে ইচ্ছা কোরবানির অংশবিশেষ দান করতে পারবে।
আল্লাহ আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করুন।।