(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
প্রথম পর্বের পর, হযরত হুসাইন রাঃ যখন বললেন বায়আতের কথা ভেবে চিন্তে বলব। তখন উনার উপর চাপ সৃষ্টি হয়।
সীমালংঘনকারীদের সীমালংঘন
হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু এর সাথে সীমালংঘনকারীরা সীমালংঘন করল, বিভিন্ন দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করল
ইয়াজিদের বায়আত গ্রহণ করার জন্য। এই অবস্থার পর হযরত হুসাইন রাঃ মক্কায় চলে আসেন।
তিনি চোখের সামনে প্রত্যক্ষ করছিলেন ইয়াজিদের স্বৈরাচার, কিন্তু এ অবস্থায় তিনি কি করবেন, কোন পদক্ষেপ নিবেন তা ঠিক করতে পারছিলেন না।
কুফা থেকে শত শত চিঠি ও লোকজনের আগমন
এরই মধ্যে কুফা থেকে শত শত চিঠি ও লোকজন হযরত হুসাইন রাঃ এর নিকট আসতে লাগল এই আবেদন জানিয়ে যে,
আপনি আমাদের নিকট চলে আসুন। আমরা আপনার নেতৃত্বে ইয়াজিদকে উৎখাত করব, তার স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাব।
মুসলিম ইবনে আকীলকে কুফায় প্রেরণ
হযরত হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহু এসব চিঠির সত্যতা ও কুফার পরিস্থিতি যাচাই বাছাই এর জন্য স্বীয় চাচাতো ভাই
হযরত মুসলিম ইবনে আকীল রাঃ কে কুফায় প্রেরণ করেন।
মুসলিম ইবনে আকীল রাঃ কুফায় এসে দেখলেন কুফার অবস্থা সম্পুর্ন হুসাইন রাঃ এর অনুকূলে।
তাই তিনি হুসাইন রাঃ কে একটি পত্র লিখে পাঠালেন যে, আপনি কুফায় যাত্রার প্রস্তুতি নিন।
কুফার অবস্থা পরিবর্তন
পত্র প্রেরণের পরই কুফার অবস্থা পাল্টে যেতে লাগল। ইয়াজিদ যখন কুফার অবস্থা জানতে পারল,
তখনই সে সাথে সাথে কুফার গভর্নর নুমান বিন বশির কে বরখাস্ত করে বসরার গভর্নর উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে তদস্থলে নিয়োগ করে। (ক্রমশঃ)