(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
কারবালা শব্দটিই এমন যা শ্রবণ করার সাথে সাথেই হৃদয় তন্ত্রীতে বেজে উঠে বেদনার সুর, মনের মাঝে গুমরে কেদে ফিরে এক অব্যক্ত বেদনা,
চোখের সামনে ভেসে উঠে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য।
খেলাফত লাভের পূর্বে ইয়াজিদের অবস্থা
৬০ হিজরীতে কাতিবে ওহী, বিশিষ্ট সাহাবী, হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর ইন্তেকালের পর তার সুযোগ্য ও বুযুর্গ পুত্র
ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া মুসলিম জাহানের শাষক নির্বাচিত হন।
ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া শাসকরূপে আবির্ভূত হওয়ার পূর্বে তার চরিত্র ছিল অত্যন্তভালো, রীতিমতো বুযুর্গ,
খেলাফত লাভের পরের অবস্থা
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ইয়াজিদের হাতে খিলাফতের দায়িত্ব আসার পর, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা তার হস্তগত হওয়ার পর
এই উন্নত চরিত্র, ও মাধুর্য মুহুর্তেই বদলে যায়। উত্তম চরিত্র মাধুর্য রূপ নেয় লোভ-লালসায়।
বুযুর্গ ইয়াজিদ আত্মপ্রকাশ করে স্বৈরশাসক রূপে।
শুরু করে স্বেচ্ছাচারিতা। ইয়াজিদ দেখল যে, তার স্বৈরশাসন সকলেই মেনে নিয়েছে, কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না,
তবে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত হুসাইন, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের ও আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুম
এখনও তার খেলাফত মেনে নিয়ে তার বায়আত গ্রহণ করেননি। তাই সাথে সাথেই সে তাদেরকে বায়আত গ্রহণ করার জন্য পত্র লিখে পাঠায়।
সংবাদ পাওয়ার পর হযরত হুসাইন রাঃ বলেন বায়আতের কথা ভেবে চিন্তে বলব। (ক্রমশঃ)