(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
দ্রুত সময় পার হয়ে যাওয়াকে নবী আলাইহিস সালাম কিয়ামতের নিদর্শন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন (কেয়ামতের পূর্ব মুহুর্তে) সময় দ্রুত পার হয়ে যাবে।
(দ্বীনের) জ্ঞান কমে যাবে।পর্যায়ক্রমে ফেতনা প্রকাশ পেতে থাকবে।ব্যয়কুণ্ঠতা প্রকাশ পাবে।অধিকহারে সংঘাতের ঘটনা ঘটবে।
সংঘাত কী? জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন হত্যাযজ্ঞ…. হত্যাযজ্ঞ…..।(বুখারী ৬৬৫২)
উলামায়ে কেরাম এখানে কয়েকটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন
(১)সময়ের বরকত শেষ হয়ে যাবে।পূর্ববর্তী লোকেরা (দ্বীনী বিষয়ে) যে কাজ একঘন্টাায় সেরে ফেলতো,পরবর্তীগন কয়েক ঘন্টায় ও তা পারবে না।
ইবনে হাজার রহঃ বলেন আমরা দ্রুত সময় পার হওয়ার বিষয়টি অনুভব করেছি (ফতহুল বারী)
(২) মুবাইল ফোন,ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে মানুষ একে অন্যকে কাছাকাছি হয়ে যাবে, কেউ কাউকে দূরে ভাববে না।
(৩)বাহ্যিক সংকোচন।হতে পারে শেষ যামানায় আল্লাহ পাক সময়কে দ্রুত করে দিবেন।আল্লাহ পাক ইচ্ছা করলে দিবস দীর্ঘ করতে পারেন,ইচ্ছা করলে সংকীর্ণ করতে পারেন।
والله علي كل شئ قدير
কারন দাজ্জাল আবির্ভাবের প্রথম তিনদিন এরকমই হবে।তৃতীয় দিনটি এক সপ্তাহের ন্যায় দীর্ঘ হবে।তদ্রুপ আল্লাহ পাক চাইলে সংকুচিত ও করতে পারেন।
আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
কেয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না সময় কাছাকাছি হয়ে যাবে। ফলে বৎসরকে মাসের মত মনে হবে।
সপ্তাহকে একদিনের মত মনে হবে।দিনকে ঘন্টার মত মনে হবে।এক ঘন্টাকে বাতাসে উড়ে যাওয়া অগ্নিস্ফুলিঙ্গের ন্যায় মনে হবে। (مسند احمد،١٠٩٥٦, ترمذي٢٣٣٢)
(৪)কেউ কেউ এখানে মানুষের আয়ু হ্রাস পাওয়া বলেছেন।