بسم الله الرحمن الرحيم
মসজিদের প্রতিবেশী হওয়ার ফজিলত সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যে ঘর মসজিদের নিকটবর্তী তার ফজিলত মসজিদের দূরবর্তী ঘর অপেক্ষা এরূপ যেমন গাজী মুজাহিদের ফজিলত সাধারণ মুজাহিদের উপর। (মুসলিম)
কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে,যাদের ঘর মসজিদ থেকে দূরে তারা সে ঘর ছেড়ে দেবে,
কেননা এ মাসআলা স্বয়ং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে উত্থাপিত হয়েছিল।
তিনিও মসজিদ থেকে দূরে অবস্থিত বাসিন্দাদেরকে এ নির্দেশ দেন যে,তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করো।
সেগুলো ছেড়ে মসজিদের নিকটে গৃহ নির্মাণের কোন প্রয়োজন নেই।
কেননা যতদূর থেকে তুমি মসজিদের দিকে আসবে ততবেশী নেকী অর্জন করবে।
যার বিস্তারিত ঘটনা নিম্নরূপ
একবার মসজিদে নববীর সন্নিকটে একটি যমিন খালি হলে বনু সালামাহ গোত্রের লোকেরা ইচ্ছা করল,
সে জায়গা টুকু খরিদ করে সেখানে নিজেদের বাসস্থান নির্মাণ করবে।কেননা তাদের বাড়ি ছিল মসজিদ থেকে কিছুটা দূরে।
একথা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কর্নগোচর হলে তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন,
তোমরা কি মনস্থ করেছো যে,তোমরা নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে মসজিদের নিকটে ঘর বানাবে।
তারা বলল জ্বী হুজুর,আমরা এরূপ মনস্থ করেছি।হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
হে বনু সালামা গোত্রের লোকজন।তোমরা তোমাদের বর্তমান বাড়িঘরে থাকো,যখন তোমরা মসজিদের দিকে আসবে,
তাহলে তোমাদের কদমে কদমে নেকি লেখা হবে।
সারকথা হলো
যার ঘর মসজিদের নিকটে হবে সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে যে,আল্লাহ তাআলা তাকে এক মহান ফজিলত দান করেছেন।
আর যার ঘর মসজিদ থেকে দূরে অবস্থিত, সে যেনো তা ছেড়ে না দেয়বরং অন্য পন্থায় সাওয়াব অর্জন করে নেয়।
অর্থাৎ কদমের আধিক্য দ্বারা সাওয়াব অর্জন করবে।