(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদিসের ভাষ্যমতে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো কারো ঘরে থাকলে রহমতের ফেরেশতা সে ঘরে প্রবেশ করেন না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
لا تدخل الملائكة بيتا فيه كلب ولا صورة ولا جنب
অর্থাৎ যে ঘরে কুকুর,বা কোন প্রাণীর ছবি, বা জুনুবি(সহবাস বা স্বপ্নদোষের কারণে অপবিত্র ব্যক্তি) থাকবে সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না।
মাসআলাঃ
কোনধরনের কুকুর বাড়িতে রাখা জায়েয।
যে কুকুর বাড়িতে রাখা হয় শিকার বা পাহারিদারির জন্য এমন কুকুর বাড়িতে রাখা জায়েয।
তাছাড়া পশ্চিমা সভ্যতা লালন করে কুকুর ভালবেসে বাড়িতে রাখা,ইত্যাদি না জায়েয।এগুলোর কারণে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না।
মনে রাখবেন!
আপনার ঘরে যদি রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ না করে,আর ঐ ঘরে আপনার মৃত্যু হয়,
তাহলে আপনার রূহ কবয করে আযাবের ফেরেশতাদের নিকট স্থানান্তরিত করা হবে।তখন কি উপায় হবে আপনার/আমার! ভেবে দেখা দরকার।
কোন ছবি ঘরে রাখা না জায়েয
যেকোনো প্রাণী চাই মানুষ হোক বা পশু- পাখি।এগুলোর ছবি রাখা না যায়েয।তবে প্রাণী ব্যতীত অন্য canary রাখা জায়েয।
হ্যাঁ! একান্ত প্রয়োজন যদি হয়,তবুও ছবি উঠাতে পারবে । তবে ঘরের দেয়ালে ঝুলন্ত রাখবে না।
কারণ হাদীস শরীফে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
اشد العذاب يوم القيامة المصورون অর্থাৎ কিয়ামতের দিন ছবি ও ঠানে ওয়ালার কঠিন থেকে কঠিনতম আযাব হবে।
জুনুবী
জুনুবী কাকে বলে?
সহবাস তথা স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশা বা স্বপ্নদোষ তথা স্বপ্নে সহবাস করার পর বাস্তবে বীর্যপাত হলে তাকে জুনুবী বলে।চাই সে পুরুষ হোক কিংবা মহিলা।
জুনুবী ব্যক্তির উপর গোসল ফরজ।গোসল ব্যতীত কোন ইবাদত তার গ্রহনযোগ্য নয়।
এমন ব্যক্তি যদি অলসতা করে গোছল না করে ঘরে বসে তাকে,তাহলে ঐ ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
তাই আসুন এসকল বিষয় থেকে নিজে বাচি অন্যকে বাচাই।