(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
بسم الله الرحمن الرحيم
নেক আমল করার সাথে সাথে তার সাওয়াব লিখিত হয়,মন্দ কাজ করার পর তাওবার জন্য অপেক্ষা করা হয়।
পাপ লিখা হয় না।এটাই আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহের এক নমুনা।
কিছু আমল এমন রয়েছে যেগুলো করার সাথে তার ঐ পরিমাণ সাওয়াব লিখিত হয়ে যায়।
আর কিছু আমল এমন রয়েছে যেগুলো করার পর যতদিন সেটি রবে ততদিন তার লিখা অব্যাহত থাকে।
যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন।
اذا مات الانسان انقطع عنه عمله الا من ثلثة الا من صدقة جارية او علم ينتفع به او ولد صالح يدعو له
অর্থাৎ যখন মানুষের মৃত্যু ঘটে তখন তার যাবতীয় আমলের ছাওয়াব বন্ধ হয়ে যায়,কিন্তু তিনটি আমল এমন যার ছাওয়াব মৃত্যুর পরও সে পেতে থাকে।
- সদকায়ে জারিয়া
- এমন ইলম,যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়।
- নেক সন্তান রেখে যাওয়া যারা তার মৃত্যুর পর দোয়া করতে থাকে।
মিশকাত,মুসলিম,আবু দাউদ নাসায়ী।
সদকায়ে জারিয়া হলঃ
এমন জিনিস সাদকাহ করা যা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকে যেমন মসজিদ নির্মাণ করা,মাদ্রাসা নির্মাণ করা।
অসহায় ব্যক্তিকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া,মানুষ চলাচলের জন্য রাস্তা তৈরি করে দেওয়া।
ইলম অর্জনের জন্য কিতাব,কোরআন শরীফ কিনে দেওয়া ,অসহায় দুস্থ ব্যক্তিদের ত্রান দেওয়া। ইত্যাদি।
তবে এসকল কাজ করতে হবে রিয়া (লোক দেখানো)মুক্ত। দুঃখের বিষয় আজকাল অনেক দান করা হয় ঠিক,
কিন্তু অল্প দান করে মিডিয়া এনে ব্যানার ছাপিয়ে বিশ্বের মধ্যে প্রচার করে অমুক দানশীল তমুক দানশীল।
দান করা হবে তো ভাই উমর রাঃ এর মত, যিনি প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও নিজ পিঠে বহন করে অসহায় দুস্থ ব্যক্তিদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতেন।
যার স্লোগান ছিল আমার শাষিত এলাকায় একটি কুকুর ও না খেয়ে মরলে এর জবাব আমাকেই দিতে হবে।
দুঃখের বিষয় আজ অসহায় দুস্থ ব্যক্তিদের ত্রান চুরি করে নিজের গোদাম ভরা হচ্ছে।আর অসহায় দুস্থরা না খেয়ে মরছে।
তাই আমাদের আদর্শ হবে সাহাবায়ে কেরাম।তাইতো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
اصحابي كالنجوم بايهم اقتديهم اهتديهم অর্থাৎ আমার সাহাবীরা আকাশের তারকার মত যারা তাদের অনুুসর করবে,তারাই হেদায়েত পেয়ে যাবে।
উপকারী ইলম হলঃ
নিজে ইলম অর্জন করে অপরের নিকট ফায়দা পৌছাতে কিতাব লিপিবদ্ধ করা,এর দারা ও ছাওয়াব অর্জিত হবে।
একটি ঘটনা
এক লিখক ও এক ডাকাতের মৃত্যু হয়,ঘটনাক্রমে এক বুযুর্গ তাদেরকে স্বপ্নে দেখলেন।
ডাকাতের কবরের আযাব মাফ হয়ে গেছে, লিখকের কবরের আযাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।তিনি খোজ নিয়ে দেখলেন,
ডাকাত মৃত্যুর পর তার ডাকাতি বন্ধ হয়ে যায়,ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে মাফ করে দিয়েছেন।
আর লিখক মন্দ কথা,খারপ বিশয় লিখে এসেছে এগুলো মানুষ পড়ে খারাপ হচ্ছে,তার অপরাধ বাড়তে থাকে,ফলে তার আজাব ও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
নেক সন্তান রেখে যাওয়া
অর্থাৎ সন্তানকে দ্বীন শিক্ষা দিবে,কোরআন শিক্ষা দিবে,কোরআনী শিক্ষায় যখন শিক্ষিত করবে তখন এই সন্তান বাবার মৃত্যুর পর অবশ্যই দোয়া অব্যাহত রাখবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফিক দান করেন।আমীন।