হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ সমূহের পরিচয়
প্রধান গ্রন্থ বেদ।
প্রত্যেক ধর্মালম্বীদের নিজস্ব ধর্ম গ্রন্থ আছে। ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক। খ্রিস্টানদের ধর্মগ্রন্থ হল ইঞ্জিল -বাইবেল (নতুন নিয়মে)।
ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ যাবুর তাওরাত বা পুরাতন নিয়ম। মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন। ঠিক তেমনি হিন্দু ধর্মের গ্রন্থ হল বেদ হিন্দুদের গ্রন্থাবলীর মধ্যে প্রাচীনতম ধর্মীয় গ্রন্থ হল বেদসমূহ।
যথা ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ ইত্যাদি। এই বেদ গ্রন্থ গুলি হিন্দুধর্মের নিম্ন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত শূদ্র জাতীয় মানুষের পক্ষে গ্রন্থ পাঠ করা দূরের কথা স্পর্শ করার অনুমতি নেই।
গ্রন্থসমূহ পাঠ এবং চর্চা করেন শুধু ব্রাহ্মণগন। উচ্চস্তরের ব্রাহ্মণ গ্রন্থ পাঠ এবং ব্যাখ্যা করতে পারেন।
হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র সম্পর্কীয় গ্রন্থের সংখ্যা অনেক এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং হিন্দু সমাজের সর্বজনস্বীকৃত ধর্ম গ্রন্থ সমূহের মধ্যে রয়েছে,
১,বেদগ্রন্থসমূহ। ২,উপনিষদ গ্রন্থসমূহ। ৩, ভগবত গীতা। ৪,পুরাণ গ্রন্থসমূহ ৫,মহাভারত-৬,রামায়ন ইত্যাদি।
বেদ গ্রন্থ বেদ গ্রন্থ সমূহের বিষয়বস্তু হলো ধর্মীয় বিশ্বাস বা আমল করনীয় কর্ম। ধর্মগ্রন্থ যে সমস্ত তথ্য বর্ণনা ও বিশ্লেষণ আছে তা মনে করা হয় চিন্তরন সত্য।
এর শুরু নেই শেষ নেই বেদ গ্রন্থ গুলোর ছন্দোবদ্ধ স্লোক বা মন্ত্রের সংকলন। হিন্দুদের মতে মন্ত্রের কথাগুলো হল ঈশ্বর থেকে প্রাপ্ত।
মন্ত্র হল ধর্মীয় কথা যা ছন্দ আকারে রচিত এবং যা ছন্দ বা সুরের মাধ্যমে গঠিত ও পঠিত হয়। মন্ত্রের ব্যাখ্যা ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে চারটি বেদ গ্রন্থে।
হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থে একত্ববাদ
পুরো পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা মহান মালিক আল্লাহ। তিনি এক তিনি ব্যতীত আর কোন মালিক নেই।
যুগে যুগে পৃথিবীতে যত ধর্ম এসেছে সকল ধর্মের মূল শিক্ষা ছিল একেশ্বরবাদ অর্থাৎ তাওহীদবাদ।
কিন্তু পরবর্তীকালে এসব ধর্মানুসারীরা সেই মালিকের সাথে অন্য কাউকে শরিক করা শুরু করে দিয়েছে।
কিন্তু তারা এই শরিক করাকে সাব্যস্ত করার জন্য অনেক চেষ্টা করার পরও তাদের ধর্মীয় গ্রন্থে একেশ্বরবাদ ও তাওহীদ এবং রিসালাতের কথা বিদ্যমান রয়েছে।
যথা হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ বেদে তাওহীদ সম্পর্কে বলা হয়েছে-
ঋগ্বেদে আছে- “একং ব্রক্ষ দ্বিতীয়ংং নাস্তি,নেহ নানাস্তি কিঞ্চন” অর্থ;পরমেশ্বর এক, তিনি ব্যতীত কেউ নেই।
(কট উপনিষঃ২,১,১১, কল্কি অবতার এবং মুহাম্মাদ সাহেব;পৃষ্ঠা-৫৭)
অথর্ববেদে আছে- “একো হ বেদো মানসি প্রবিষ্ট”
অর্থ;সে ঈশ্বর এক যে ঈশ্বর সকলের অন্তরে প্রবেশ করিয়া মনের কথা জানেন।
শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় আছে-
ত্বমাদিদেঃঃপুরুষঃঃঃপুরান
ত্বমস্য বিশ্বাস্য পরং নিধানম।
বেত্তাসি বেদ্যঞ্চ পরঞ্চ ধাম
ত্বয়া ততং বিশ্বমনন্তরুপ। (শ্রীমদ্ভাগবত গীতাঃ১১/৩)
তুমি অনদীদের তুমি পুরান পুরুষ তুমি বিশ্বের পরম আশ্রয় স্বরুপ একমাত্র প্রভু। তুমিই একমাত্র জ্ঞাতব্য।
এবং তুমি একমাত্র পরমস্থান হে অন্তরূপ তুমি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রসারিত। (হিন্দু ধর্ম ও মূল্যবোধ)২
“য এক ইত্তমুষ্টুহি কৃষ্টীনাং বিচর্ষানিঃ।
অর্থ,যিনি সবদর্শী ও বষর্ণশীল,তিনি এক।
সুত্র,হিন্দু [সনাতন ]ধর্মে কল্কি(অন্তিম)অবতার ও সত্য পথের দিশা)