Breaking News
Home / নামাজ / ক্বাযা বাকী থাকা অবস্থায় ওয়াক্তী নামাজ পড়ে নিলে

ক্বাযা বাকী থাকা অবস্থায় ওয়াক্তী নামাজ পড়ে নিলে

(মুলিমবিডি২৪ ডটকম)

ক্বাযা বাকী থাকা অবস্থায় ওয়াক্তী নামাজ পড়ে নিলে

কেউ যদি াজ বাকী থাকা অ্থায় ওয়াক্তী নামাজ পড়ে নেয় তাহলে তার ওয়াক্তী নামাজ ফাসেদ হওয়াটা আপাতত: মওকূফ থাকবে।

যদি সে ক্বাযা আদায় ব্যতিরেকে ওয়াক্তী নামাজ পড়তে থাকে আর ক্বাযা ও ওয়াক্তী নামাজের সংখ্যা ছয় হয়ে যায় তাহলে মোট সংখ্যা

ছয় হওয়া মাত্র তার আদায়কৃত ওয়াক্তী নামাজগুলো শুদ্ধ বলে বিবেচিত

কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে অর্থাৎ মোট সংখ্যা ছয় হবার আগেই যদি সে ঐ ক্বাযা আদায় করে ফেলে তাহলে কিন্তু ওয়াক্তী নামাজের ফাসেদ হওয়াটা কার্যকর হয়ে যাবে।

ে ক্বাযা আদায়ের পর ওয়াক্তী নামাজগুলো আবার পড়তে হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী-২/৭০-৭২)

ক্বাযা বাকি থাকা অবস্থায় জামাত শুরু হয়ে গেলে

কারও জিম্মায় ক্বাযা নামাজ বাকী থাকা অবস্থায় ওয়াক্তী নামাজের জামাত শুরু হয়ে গেলে ঐ

ব্যক্তির জন্য জামাতে শরীক না হয়ে, ে ক্বাযা আদায় করা জরুরী।

ক্বাযা নামাজ আদায় করে তারপর ওয়াক্তী নামাজ পড়বে।

হ্যা, যদি ঐ ব্যক্তির জিম্মায় ক্বাযা নামাজের সংখ্যা ছয় কিংবা এর চেয়ে বেশী হয় তবে ক্বাযা আদায় না  করেই জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৪/৩৩১, ফাতাওয়ায়ে রহীমিয়্যাহ-৫/২-৩)

ছয় ওয়াক্ত নতুন না পুরাতন

কারও জিম্মায় নতুন হোক কিংবা পুরাতন তথা বালিগ (পূর্ণ বয়স্ক)  হওয়া থেকে নিয়ে এই পর্যন্ত সর্বমোট ছয় ওয়াক্ত নামাজের (বিতির বাদে) ক্বাযা থাকলে

তাকে আর তারতীব রক্ষা করতে হবে না। ক্বাযা বাকী থাকা অবস্থায় সে ওয়াক্তী নামাজ পড়ে নিতে পারবে।

(ফাতাওয়ায়ে শামী-২/৬৮৬৯, কেফায়াতুল মুফতি-৩/৪৩৯, ইাদুল ফাতাওয়া-১/৫০৬)

তারতীব ধারাবাহিকতা রহিত হওয়ার কারণ সমূহ

ক্বাযা ও ওয়াক্তী নামাজের মধ্যকার তারতীব (ধারাবাহিকতা)  রক্ষা করা ওয়াজিব হলেও তিনটি কারণের যে কোন একটি পাওয়া গেলে তা আর ওয়াজিব থাকে না।

কারণ তিনটি হচ্ছে এই-

(১) ক্বাযা নামাজের ভুলে গেলে।

(২) ওয়াক্তী নামাজের মূল ওয়াক্তটুকু চলে যাওয়ার আশংকা হলে।

(৩) ক্বাযা নামাজের সংখ্যা ছয় ওয়াক্ত হয়ে গেলে।

(ফাতাওয়ায়ে শামী-২/৬৬-৬৭, মারাক্বী-২৩৯-২৪০)

কারও জিম্মায় ক্বাযা নামাজ বাকী থাকলে

কারও জিম্মায় ক্বাযা নামাজ বাকী থাকলে প্রথমত: ক্বাযা আদায় করতে হবে অত:পর ওয়াক্তী নামাজ পড়বে।

ক্বাযা ও ওয়াক্তী নামাজের মধ্যে তারতীব (ধারাবাহিকতা)  রক্ষা করা ওয়াজিব।

তাই ক্বাযা আদায় না করে আগে ওয়াক্তী নামাজ পড়ে নিলে তা আদায় হবে না।

ফাতাওয়ায়ে শামী-২/৬৫, ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী-১/২২১, মারাক্বিযুল ফালাহ (ত্বাহত্বাবীর অন্তর্ভুক্ত) ২৩৯-২৪০)

About Admin

আমার নাম: এইচ.এম.জামাদিউল ইসলাম ঠিকানা: সিলেট, বাংলাদেশ। আমি কোরাআনের খেদমতে আছি এবং MuslimBD24.Com সাইটের ডিজাইনার (Editor) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায়, তাই সময় পেলে দ্বীন ইসলাম প্রচারের সার্থে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখালেখি করি। যাতে করে অনলাইনেও ইসলামিক জ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞানহীন মানুষ, ইসলামিক জ্ঞান সহজে অর্জন করতে পারে। একজন মানুষ জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিজের জীবনকে ইসলামের পথে চালাতে গেলে ইসলাম সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করার দরকার, ইনশা-আল্লাহ! এই ওয়েব সাইটে মোটামুটি সেই জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। যদি সব সময় সাইটের সাথে থাকে। আর এই সাইটটি হল একটি ইসলামিক ওয়েব সাইট । এ সাইটে শুধু দ্বীন ইসলাম নিয়ে লেখালেখি হবে। আল্লাহ তায়ালার কাছে এই কামনা করি যে, আমরা সবাইকে বেশী বেশী করে ইসলামিক জ্ঞান শিখার ও শিখানোর তাওফিক দান করুন, আমিন। তাজবীদ বিষয়ে কিছু বুঝতে চাইলে যোগাযোগঃ 01741696909

Check Also

নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফায়দা

নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফায়দা

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম) ফরজ নামাজের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হবে। এই হিসাবে পার হতে না …

Powered by

Hosted By ShareWebHost