(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
আজকাল ফটোগ্রাফির প্রচলন এবং আকর্ষণ এত বেশী যে, পরিধানের জন্য পর্যন্ত ফটোবিশিষ্ট কাপড় তৈরি হচ্ছে।
কোন প্রাণীর ফটো সম্বলিত কাপড় পরিধান করাই মাকরূহ। আবার ঐ কাপড়ে সর্বোত্তম ইবাদত নামাজ আদায় করা তো আরও দূষণীয় ও অপছন্দনীয়।
প্রাচীন যুগে ফটোবিশিষ্ট কাপড় পরিধান করার প্রচলন ছিল না।
তবে সাজসজ্জার উদ্দেশ্যে তা পর্দা এবং বিছানাস্বরূপ ব্যবহার করা হত।
ফিকুহবিদগণ ঐগুলিকেও মাকরূহ সাব্যস্ত করেছেন।
ফিকুহ শাস্ত্রের বিভিন্ন কিতাবে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে যে,
নামাজের মাকরূহ সমূহের মধ্যে এটাও যে, মুসল্লীর মাথার উপর কিংবা তার সামনে অথবা তার বরাবর ডানে বা বামে কিংবা সেজদাহর স্থানে ফটো থাকা।
(দুররে মুখতার)
মুসল্লীর নিকটস্থ কোন একদিকে ফটোবিশিষ্ট কাপড় থাকার দরুন যখন মুসল্লীর নামাজ মাকরূহ হয় তবে ফটোবিশিষ্ট কাপড় পরিধান করে নামাজ পড়াতো অবশ্যই মাকরূহ ।
নামাজ মাকরূহ হওয়ার কারণ কয়টি ও কি কি – Muslimbd24.com
এছাড়া আরও দূষণীয় হবে।
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৪/১৩৭, আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪২৭)
খোলা মাথায় নামাজ
আজকাল অনেককে খোলা মাথায় নামাজ পড়তে দেখা যায়। অথচ, টুপি হচ্ছে মুসলমানের ইউনিফর্ম। তাই অলসতাবশত: টুপি ছাড়া নামাজ পড়া মাকরূহ।
হ্যা, যদি কেউ আল্লাহর দরবারে অতিরিক্ত নম্রতা প্রকাশের লক্ষ্যে টুপি ছাড়া নামাজ পড়েন, তাহলে তা মাকরূহ হবে না।
তবে বর্তমান সমাজে যেহেতু টুপি ছাড়া নামাজে দাঁড়ানোকে নম্রতা প্রকাশ বলে মনে করা হয় না বরং সেটাকে আল্লাহ তায়ালার,
শাহী দরবারে দাঁড়ানোর আদবের খেলাফ বলেই গণ্য করা হয়ে থাকে। ফলে বিনা উজরে খোলা মাথায় নামাজ আদায় করা মাকরূহ।
আর কেউ যদি নামাজের প্রতি অবজ্ঞ প্রদর্শনস্বরূপ খালি মাথায় নামাজ পড়ে তাহলে তার ঈমান থাকবে না। সে কাফিরে পরিণত হয়ে যাবে।
তাওবাহ করত: নতুনভাবে তাকে পুনরায় ঈমান আনতে হবে। ফিকুহ শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ কিতাব দুররুল মুখতারে রয়েছে :
“অলসতা বশত: খোলা মাথায় নামাজ পড়া মাকরূহ । হ্যা, নম্রতা প্রকাশের উদ্দেশ্য হলে কোন অসুবিধা নেই।
তবে নামাজের প্রতি অবজ্ঞ প্রদর্শন হিসেবে খোলা মাথায় নামাজ আদায় করা কুফরী।
হারাম পয়সায় খরিদকৃত কাপড়ে নামাজ
হারাম পন্থায় উপার্জিত পয়সার দ্বারা খরিদকৃত কিংবা চুরি করে আনা কাপড় পরিধান করে নামাজ পড়া মাকরূহে তাহরীমী। এ জাতীয় নামাজ পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব।
গলায় টাই পরে নামাজ
গলায় টাই পরে নামাজ পড়া মাকরূহে তাহরীমী। এ জাতীয় নামাজ পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব।
(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪২৯)
তাকবীরে তাহরীমাহ এর আগে হাত বেধে রাখা
নামাজ শুরু করার প্রথমে নিয়ম হলো উভয় হাত ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
তাকবীরে তাহরীমাহ বলে হাত উঠিয়ে পরে তা নাভীর নিচে (পুরুষের জন্য) বা বুকের উপর (মেয়েলোকের জন্য) বেধে নেয়া।
অথচ, কোন কোন মুসল্লীকে তাকবীর বলা তথা নামাজ শুরু করার আগেই হাত বেধে রাখতে দেখা যায়। যা সুন্নাত তরীকার পরিপন্থী এবং মাকরূহ।
(আহসানুল ফাতাওয়া-২/২৯৭)