(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
জুমুআর প্রথম আযানের পর করণীয় কার্য সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা হচ্ছে:
হে ঈমানদারগণ! যখন জুমুআ বারের নামাজের আযান দেয়া হয়, তখন ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে নামাজের জন্য ছুটে আস। (সূরাহ জুমুআ)
জুমুআ বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পোস্ট নিম্নে লিংক দেওয়া হল পড়ে নিতে পারেন।
১)জুমুআর দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত
২)জুমার নামাজের ছয়টি শর্ত ও জুমার বিস্তারিত আলোচনা
তাই উলামায়ে কিরামের সিদ্ধান্ত হলো, জুমুআর প্রথম আযান হয়ে যাওয়ার পর নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণার্থে কোন কাজ অবৈধ নয়।
এছাড়া ব্যবসায়ীর ব্যবসা, চাষীর উৎপাদন, কৃষকের কৃষিকাজ, গৃহকর্তার গৃহের কাজ, শ্রমিকের কারখানার কাজ ড্রাইভারের গাড়ী চালনা,
চাকুরীজীবির চাকুরির দায়িত্ব পালন প্রভৃতি সব কিছুই অবৈধ। এমনকি ধর্মীয় কিতাবাদি অধ্যায়ন কিংবা অধ্যাপনা, মাসআলা-মাসাইল শিক্ষা কিংবা শিখানো,
ধর্ম সংক্রান্ত কোন বিষয়ের আলোচনা করা, লেখালেখি করা বা গবেষণা করা প্রভৃতি সকল ধর্মীয় কাজও সমানভাবে অবৈধ।
তবে আযানের পর নামাজের দিকে রওয়ানা হয়ে চলার পথে দ্বীনি কিংবা দুনিয়াবি কোন কাজ এমনভাবে করা যা চলতে বাধা সৃষ্টি না করে, তা অবশ্য জায়েজ আছে।
অথচ, আজকাল অনেকেই জুমুআর প্রথম আযান হয়ে যাওয়ার পরও দ্বীনি কিংবা দুনিয়াবি কাজে মশগুল থাকতে দেখা যায়! এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
(ফাতাওয়ায়ে শামী-২/১৬১, দারুল উলূল-৫/৩৯, আহসানুল ফাতাওয়া-৪/১৪০)
খুতবার আযানের জবাব ও দোয়া
খতীব সাহেব খুতবার দেয়ার উদ্দেশ্যে চলে আসামাত্র সকল প্রকার কথাবার্তা নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
ফলে জুমুআর দ্বিতীয় আযানের জবাব দেয়া এবং আযান শেষে দোয়া করা (একমাত্র খতীব ছাড়া বাকী সকলের জন্য) না জায়েজ।
তবে শব্দ উচ্চারণ না করে ঠোট ও জিহ্বা না নেড়ে মনে মনে আযানের জবাব দেয়া ও দোয়া পড়া যাবে। শরীয়তে এর অনুমতি রয়েছে।
(ফাতাওয়ায়ে শামী-১/৩৯৯, ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়্যাহ-২/২০৮, আহসানুল ফাতাওয়া-৪/১২৫)
নবজাত শিশুর কানে আযান ইকামত
কোন কোন এলাকায় শিশু জন্ম নিলে তারপর বাইরে দাঁড়িয়ে আযান দেয়া হয়। কোথাও কোথাও মেয়ে হলে ছেলে হলে কেবল আযান দেয়া হয়,
মেয়ে হলে কেবল ইকামত দেয়া হয়। কোথাও মেয়ে হলে ছেলের বিপরীতে ডান কানে ইকামত এবং বাম কানে আযান দেয়া হয়।
আবার কোথাও মেয়ে হলে আযান-ইকামত কিছুই দেয়া হয় না। এ সব কিছু নিয়মের পরিপন্থী এবং অজ্ঞাতপ্রসূত।
নবজাত শিশুর কর্ণে (কানে) আযান ইকামত দেয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে-নবজাতকে কোলে তোলে ওর চেহারা কিবলাহ এর দিকে রেখে লঘু আওয়াযে ডান কানে আযান এবং বাম কানে ইকামত দেয়া।
ছেলে হোক মেয়ে হোক উভয়ের ক্ষেত্রে এই একই পদ্ধতি প্রযোজ্য। এ আযান ইকামতে কিবলামুখী হয়ে থাকা এবং হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ,
বলার সময় ডানে বামে মুখ ফেরানো সুন্নাত। এর জন্য পুরুষ হওয়া শর্ত নয়। তাই পুরুষ না থাকলে মহিলারা আযান ইকামত দিলেও সুন্নাত আদায় হবে।
(ফাতাওয়ায়ে শামী-১/৩৮৭, বাহরুর রা-ইক্ব-১/২৫৮, আহসানুল ফাতাওয়া-২/২৭৮)