Breaking News
Home / জরুরী মাসাইল / নখ কাটার সঠিক নিয়ম

নখ কাটার সঠিক নিয়ম

(২৪ ডটকম)

নখ কাটার সঠিক নিয়ম

কাটার সময় উত্তম হচ্ছে- ডান হাত থেকে কাটা শুরু করে আবার ডান হাতেই শেষ করা।

অর্থাৎ ডান হাতের শাহাদাত আংগুলি থেকে শুরু করে কনিষ্ঠাংগুলিতে শেষ করা। অত:পর বাম হাতের কনিষ্ঠাংগুলি থেকে শুরু করে বৃদ্ধাংগুলি কাটা।

তারপর সর্বশেষে ডান হাতের বৃদ্ধাংগুলি কাটা। পায়ের কখ কাটার সময় উত্তম পন্থা হচ্ছে-

ডান পায়ের কনিষ্ঠাংগুলি থেকে শুরু করে ধারাবাহিক নিয়মে কেটে কেটে বাম পায়ের কনিষ্ঠাংংগুলিতে গিয়ে শেষ করা।

নখ কাটার এই নিয়ম অনেক উলায়ে কেরাম বর্ণনা করেছেন। অপর দিকে অনেকেই এটাকে অস্বীকার করেছেন।

তাদের মতে এতদসম্পর্কিত গুলো একেবারে দুর্বল। কিন্তু ফজীলত প্রমাণের জন্য দুর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য।

এই মূলনীতির আলোকে অন্য পক্ষ নখ কাটার বর্ণিত এই নিয়মকেও মেনে নিয়েছেন।

শুক্রবারে নখ কাটা

হাত ও পায়ের নখ যে কোন দিন কর্তন করা যায়। তবে শুক্রবারে কাটা মুস্তাহাব। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন:

যে ব্যক্তি জুমুআহ বারে নখ কর্তন করবে, আল্লাহ তায়ালা অপর জুমুআহ পর্যন্ত বরং এর চেয়ে তিনদিন অধিককাল পর্যন্ত তাকে বালামুসিবত থেকে হেফাজতে রাখবেন।

অর্থাৎ যে ব্যক্তি জুমুআহ বারে নখ কর্তন করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে দশ দিন পর্যন্ত নিজ হেফাজতে রাখবেন।

(ফাতাওয়ায়ে শামী-৬/৪০৫)

নখ ও চুল মাটিতে পোতা

কর্তিত নখ ও চুল না ফেলে উচিত হলো তা ভূগর্ভে পোতা। মাটিতে এমনিভাবে ফেলে দেয়াতেও কোন দোষ নেই।

তবে আবর্জনাস্থল কিংবা গোসলখানায় ফেললে রোগ সৃষ্টি হবার আশংকা রয়েছে।

(ফাতাওয়ায়ে শামী-৬/৪০৫, ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী-৫/৩৫৮)

নখ লম্বা করার ফ্যাশন

নখ কাটার নির্দেশ রয়েছে শরীয়তে। বিভিন্ন হাদীসে কয়েকটি বিষয়কে মানুষের স্বভাবগত অভ্যাস এবং সর্বযুগের সমস্ত আম্বিয়ায়ে কিরামের বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তন্মধ্যে একটি হচ্ছে নখ কাটা। অতচ, আজকাল কোন কোন লোককে হাতের বিশেষ কোন নখ লম্বা করে রাখতে দেখা যায়।

যা সম্পূর্ণ পাশব বৃত্তি এবং মানবতাবিরোধী কাণ্ড। েই ইহা পরিহার করা একান্ত দরকার।

নখপালিশ, ঠোট পালিশ বা লিপিষ্টিক

অজু এবং ফরজ গোসলে নখ বা ঠোঁটের চামড়ায় পানি পৌঁছানো জরুরী। অন্যথায় অজু ও ফরজ গোসল আদায় না।

তাই এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। আমাদের দেশে প্রচলিত নখপালিশ, ঠোটপালিশ বা লিপিষ্টিক ব্যবহারে নখে বা ঠোটের চামড়ায়,

সাধারণত: পানি পৌঁছে না বিধায় অজু ও ফরজ গোসল কোনটাই সহীহ হয় না।

তাই অজু এবং ফরজ গোসলের সময় নখ ও, ঠোট থেকে তা দূর করত: সেখানে পানি পৌছাতে হবে, অন্যথায় কারো পক্ষে পবিত্রতা অর্জন সম্ভব হবে না।

(ফাতাওয়ায়ে শামী-১/১৫৪, আহসানুল ফাতাওয়া-২/২৬-২৭)

 

About Admin

আমার নাম: এইচ.এম.জামাদিউল ইসলাম ঠিকানা: সিলেট, বাংলাদেশ। আমি কোরাআনের খেদমতে আছি এবং MuslimBD24.Com সাইটের ডিজাইনার (Editor) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায়, তাই সময় পেলে দ্বীন ইসলাম প্রচারের সার্থে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখালেখি করি। যাতে করে অনলাইনেও ইসলামিক জ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞানহীন মানুষ, ইসলামিক জ্ঞান সহজে অর্জন করতে পারে। একজন মানুষ জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিজের জীবনকে ইসলামের পথে চালাতে গেলে ইসলাম সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করার দরকার, ইনশা-আল্লাহ! এই ওয়েব সাইটে মোটামুটি সেই জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। যদি সব সময় সাইটের সাথে থাকে। আর এই সাইটটি হল একটি ইসলামিক ওয়েব সাইট । এ সাইটে শুধু দ্বীন ইসলাম নিয়ে লেখালেখি হবে। আল্লাহ তায়ালার কাছে এই কামনা করি যে, আমরা সবাইকে বেশী বেশী করে ইসলামিক জ্ঞান শিখার ও শিখানোর তাওফিক দান করুন, আমিন। তাজবীদ বিষয়ে কিছু বুঝতে চাইলে যোগাযোগঃ 01741696909

Check Also

কোর্ট ম্যারেজ বৈধ না অবৈধ

(Muslimbd24.Com) আদালতের মাধ্যমে বিবাহের প্রচলিত পদ্ধতি হল,  ছেলে – মেয়ে  উভয়ে রেজিস্টারএর কাছে নিকাহনামা তে …

Powered by

Hosted By ShareWebHost