(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
তাবেঈ খালেদ ইবনে মাদান (রহ.) বলেন, পড় তোমরা মুক্তিদানকারী সূরা। তা হল “সূরা আলিফ লাম মীম তানযীল” (অর্থাৎ সূরা সেজদাহ)
কেননা বিশ্বস্ত সূত্রে আমার নিকট এ কথা পৌছেছে যে, এক ব্যক্তি তা পড়ত এবং তা ছাড়া অপর কিছু পড়ত না।
আর সে ছিল বড় গোনাহগার ব্যক্তি। তার মৃত্যুর পরে উক্ত সূরা তার উপর ডানা বিস্তার করে এবং বলতে থাকে যে, হে পরওয়ারদিগার তাকে মাফ করুন।
কেননা সে আমাকে বেশী বেশী পড়ত। সুতরাং পরওয়ারদিগার আলম তার সম্পর্কে উক্ত সূরার শাফায়াত কবুল করেন।
আর বলেন যে, তার প্রত্যেক গোনাহর স্থলে এক একটি নেকী লেখ এবং তার মর্যাদা বুলন্দ কর। তিনি এও বলেন যে, উক্ত সূরা কবরে তার পাঠকের জন্য,
আল্লাহর নিকট আরজি করে বলবে হে আল্লাহ! আমি যদি তোমার কিতাবের অংশ হই তবে তার ব্যাপারে তুমি আমার শাফায়াত কবুল কর।
আর যদি আমি তোমার কিতাবের অংশ না হই তবে আমাকে তা হতে মুছে ফেল। (অপর বর্ণনায়) তিনি বলেন, তা পক্ষীর ন্যায় হয়ে তার উপর আপন পাখা বিস্তার করবে,
তার জন্য সুপারিশ করবে। ফলে সে কবরের আজাব হতে মুক্তি পাবে। তিনি “সূরা তাবারাকাল্লাজী” সম্পর্কেও এইরূপ বলেছেন।
(পরবর্তী রাবী বলেন) খালেদ এই সূরা দুইটি না পড়ে শুতেন না।
তাবেঈ তাউস বলেন, এ দুই সূরাকে কোরআনের প্রত্যেক সূরা অপেক্ষা ষাটগুন অধিক নেকী লাভের মর্যাদা দান করা হয়েছে।
(দারেমী মুরসালরূপে)
ব্যাখ্যা:
ঐ সূরা পাঠকারীর উপর আপন পাখা বিস্তার এর উদ্দেশ্য যে,
ঐ সূরা বা ঐ সূরার সওয়াব পক্ষীর ন্যায় হয়ে পাঠকারীর উপর আপন পাখা বিস্তার করবে পাঠকারীকে ছায়া দেওয়ার জন্য।
অথবা ঐ সূরা তার পাঠকারীকে তার আশ্রয়ে নিয়ে নিবে অর্থাৎ পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে। কবরের মধ্যে ঐ সূরা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে।
কবরের মধ্যে ঐ সূরা তার পাঠকারীর জন্য ঝগড়া করবে।
এর উদ্দেশ্য হল, যে ব্যক্তি সর্বদা ঐ সূরা পাঠ করে তার জন্য কবরের মধ্যে কঠিন আজাব থেকে মুক্তি দেওয়া,
অথবা আরামদায়ক বিছানার জন্য ঐ সূরা সুপারিশ করবে।
তাবেঈ তাউস (রহ.) বর্ণনা করেন যে, সূরা সেজদাহ এবং সূরা মুলক এর ফজিলত সমস্ত সূরার উর্ধ্বে। অর্থাৎ সূরা বাকারা এবং সূরা ফাতেহার পরে।
কেননা, সূরা ফাতেহার মধ্যে আল্লাহর প্রশংসা, দোয়া এবং ইবাদতের বর্ণনা রয়েছে,
এবং সূরা বাকারার মধ্যে শরীয়তের হুকুম আহকাম বিধি-বিধান রয়েছে।
(সূত্র: কোরআনের মহিমা-১০৮,১০৯)