(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
যখন কোরআন পুরাতন হয়ে যাবে এবং তেলাওয়াত করাও সম্ভব হবে না তখন ঐ পুরাতন কোরআনকে জ্বালিয়ে দিবে নাকি ধৌত করবে?
এই বিষয়ে বিজ্ঞ আলেমদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।
কিছু বিজ্ঞ আলেমদের মতামত, যে পুরাতন কোরআন তেলাওয়াত করা সম্ভবপর হবে না ঐ কোরআনকে জালিয়ে দেওয়া উত্তম।
কেননা জ্বালিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কোরআনের কোন রকম অবমাননা বা অসম্মান করা হয়না এবং বেয়াদবি হয়না।
কিন্তু কোরআন ধৌত করার দ্বারা ধৌত করা পানি জমিনের উপর প্রবাহমান হওয়ার দ্বারা মানুষের পদদলিত হয়।
কিছু বিজ্ঞ আলেমদের মতামত যে, পুরাতন কোরআন ধৌত করা উত্তম এবং উহার ধৌত করা পানি পবিত্র জায়গায় ফেলে দেওয়ার থেকে উত্তম যে ঐ পানি পান করা।
কেননা ঐ পানি প্রত্যেক অসুস্থতা এবং অন্তরের বিমারী থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু বর্তমান যে কোরআন আমাদের সামনে আছে ঐ কোরআন জ্বালিয়ে দেওয়া উত্তম।
কেননা আগের যুগের যে কোরআন ছিল তা হাতে লিখিত এবং পানির দ্বারা ধৌত করার দ্বারা কোরআনের অক্ষরগুলো মুছে যেত।
কিন্তু বর্তমান যে কোরআন আমাদের সামনে আছে তা ছাপানো হয় এবং ধৌত করার দ্বারা কোরআনের এ অক্ষরগুলো মুছে যায় না।
এ কারণে তা জ্বালিয়ে দেয়া বা গোরস্তানে দাফন করাই উত্তম।
এ ব্যাপারে আরো কিছু বিষয় নিম্নে তুলে ধরা হল:
অনেক সময় আমরা রাস্তা দিয়ে চলার সময় অথবা মাঠেঘাটে হাটার সময় অনেক সময় আরবি লিখিত ছাপানো বা ছাপানো ছাড়া কাগজ পাই।
এরকম হলে সাথে সাথে এই কাগজের টুকরা হাতে নিয়ে খিয়াল করে দেখা উচিৎ যে, এই কাগজে কোরআন শরীফের কোন আয়াত লিখা কি না।
যদি তাই হয় তাহলে সাথে সাথে উক্ত কাগজ কে ভাল করে মুছে সম্মানের সহিত কোন পাক জায়াগায় পুতে ফেলবেন।
আর কোরআনের আয়াত ছাড়া অন্য কোন কিছু আরবীতে কাগজে লিখা থাকলেও কোরআন যখন আরবী ভাষায় লিখিত তাই কোরআনের সম্মানে উক্ত,
কাগজকে যত্নসহকারে উঠিয়ে পাক কোন জায়গায় পুতে ফেলাও উচিত। এ ব্যাপারে যেন কোন অবেহেলা না করি।
কেননা মুসলমান ব্যক্তি যদি তা দেখেও কাগজকে না উঠিয়ে চলে যায়,
চাই তা কোরআনের আয়াত বিশিষ্ট কাগজ বা আরবী ভাষায় লিখিত কোন কাগজের টুকরা হউক।
তাহলে এর জন্য সে গোনাহগার হবে, আর যদি না দেখে অথবা খিয়াল না করে তাহলে গোনাহগার হবে না। এই কাজের ফায়দা ও ক্ষতি আশা করি বুঝে গেছেন সবাই।
(সূত্র: কোরআনের মহিমা-৩৪)