(মুসিলিমবিডি২৪ ডটকম)
ছোট বড় যাবতীয় গোনাহের মাগফেরাতের জন্যে সালাতুত তাসবীহ নামাজ পড়তে হয়।
সেই গোনাহ ইচ্ছাকৃত হোক কিংবা ভুলক্রমে, গোপনে হোক বা প্রকাশ্যে।
হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাচা হযরত আব্বাস (রাযি.)- কে এই নামাজ শিখিয়ে ছিলেন।
উক্ত নামাজ পড়ার নিয়ম এই যে, প্রত্যেক রাকআতে ক্বেরাত পড়ার পর ১৫ বার-
“সুবহানআল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আঁকবার ”
পড়বে এবং রুকুতে ১০ বার, ক্বওমাতে ১০ বার, সেজদায় ১০ বার, জলসায় ১০ বার, দ্বিতীয় সেজদায় ১০ বার,
এবং দ্বিতীয় সেজদা থেকে ওঠার পর বসে ১০ বার পড়বে। এভাবে প্রত্যেক রাকআতে ৭৫ বার এবং পুরো ৪ রাকআতে সর্বমোট ৩০০ বার এ তাসবীহ পড়া হবে।
সম্ভব হলে দৈনিক একবার, না হয় সাপ্তাহে একবার, না হয় মাসে একবার না হয় বছরে একবার, না হয় জীবনে একবার হলেও এ নামাজ পড়ে নিবে।
চার রাকআত নামাজে মুসাব্বিহাত সূরা সমূহ থেকে যে কোন একটি সূরা পড়ে নিবে। মুসাব্বিহাত সূরা হলো মোট ৭ টি।
যথা: (১) সূরা বনী ইসরাইল (২) সূরা হাদীদ (৩) সূরা হাশর (৪) সূরা ছফ (৫) সূরা জুমআ (৬) সূরা তাগাবুন (৭) সূরা আলা।
তাওবার নামাজ কাকে বলে?
কারো গোনাহ হয়ে গেলে তার কর্তব্য হলো, সাথে সাথে অজু করে দুই রাকআত নফল নামাজ আদায় করে নেয়া।
অত:পর আল্লাহ তায়ালার দরবারে গোনাহ মাফের জন্য দোআ করা, তাওবা করা ও গোনাহের কারণে অনুতপ্ত হওয়া।
তাছাড়া এই মর্মে দৃঢ় সংকল্প করা যে, ভবিষ্যতে আর কোন দিন এ গোনাহ করবে না।
সূর্য গ্রহণের সময় সুন্নত কি?
সূর্যগ্রহণ হলে সুন্নত হল, জুমার ইমাম সাহেব মুসল্লিদের নিয়ে দুই রাকআত নামাজ পড়বে।
প্রত্যেক রাকআতে অন্যান্য নামাজের মতোই এক রুকু করবে। ক্বেরাত খুবই লম্বা পড়বে এবং তা চুপে চুপে পড়বে।
সাহেবাইনের মতে ক্বিরাত উচ্চ:স্বরে পড়বে। নামাজের পর সূর্যগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার জিকিরে মশগুল থাকবে।
যদি জামায়াত না হয় তাহলে দুই চার রাকআত নামাজ একা একাই পড়ে নিবে।
অনুরূপ ভাবে চন্দ্রগ্রহণ, ঘোর অন্ধকার, কাল মেঘ, ভূমিকম্প প্রভৃতি মুসিবত দেখা দিলেও নামাজ পড়া সুন্নত।