(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
মৃত প্রাণী অর্থাৎ যে প্রাণী নিজে নিজেই মৃত্যুবরণ করেছে এবং যে প্রাণীকে আহলে কিতাব ব্যতীত অন্য কোন কাফের ব্যক্তি জবাই করেছে,
তার গোশত খাওয়া হারাম। ঐ প্রাণীর গোশত খাওয়াও হারাম যেটাকে কোন মুসলমান অথবা আহলে কিতাব জবাই করার সময়,
ইচ্ছাকৃত ভাবে বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিয়েছে। আর যদি ভুলক্রমে বিসমিল্লাহ পড়া ছেড়ে দেয় তবে ইমাম মালেক রহ.-এর মতে উক্ত প্রাণীর গোশত খাওয়া হারাম।
তবে ইমাম আবু হানীফা রহ.-এর মতে উক্ত প্রাণীর গোশত খাওয়া হালাল। (ইমাম আবু হানীফা রহ.-এর অভিমতের উপর ফাতওয়া।)
গাধা, খচ্চর, খেঁকশিয়াল ইত্যাদি ভক্ষণ করার হুকুম কি?
যেসব প্রাণী ছিঁড়ে-ফেড়ে আহার করে চাই চতুষ্পদ প্রাণী হোক কিংবা পাখি হোক। যেমন: গণ্ডার, খেঁকশিয়াল ইত্যাদি প্রাণীর গোশত খাওয়া হারাম।
অনুরূপ ভাবে হাতী, গাধা, খচ্চর ও মাটিতে লুকিয়ে থাকা প্রাণী ; যেমন- গৃহ বসবাসকারী ইঁদুর ও জংলী ইঁদুর, বেজী ইত্যাদি খাওয়া হারাম।
এমনিভাবে কীটপতঙ্গ, যেমন- ভীমরুল ও ভীমরুল জাতীয় পোকা মাকড় খাওয়াও হারাম।
যে সকল প্রাণীর অধিকাংশ খাদ্য নাপাক সেগুলীর গোশত খাওয়াও হারাম।
কোন কোন জানোয়ার ভক্ষণ করা মাকরূহ ও হালাল?
যে সকল প্রাণী পাক ও নাপাক উভয় ধরনের খাদ্য ভক্ষণ করে তা খাওয়া মাকরূহ। ঘোড়ার গোশত খাওয়া হালাল,
তবে ইমাম আবু হানীফা রহ.-এর মতে মাকরূহ। শস্য আহারকারী কাক, খরগোশ ও অন্যান্য জংলী প্রাণী যেগুলি ছিড়ে- ফেড়ে আহার করে না সেগুলো খাওয়া হালাল।
সর্বপ্রকার মাছ ব্যতীত অন্য কোন জলজ প্রাণী খাওয়া ইমাম আবু হানীফা রহ.-এর মতে হালাল নয়।
মাছও যদি বিনা কারণে মরে গিয়ে পানিতে ভেসে ওঠে, তবে তা ইমাম আবু হানীফা রহ.-এর মতে হারাম। আর মাছ ও টিড্ডি জবাই করা শর্ত নয়।
কোন কোন প্রাণীর ঝুটা পাক, কোনটির ঝুটা নাপাক ও মাকরূহ?
মানুষের ঝুটা (উচ্ছিষ্ট) পাক, যদিও সে কাফের হয়। ঘোড়া ও হালাল প্রাণীর ঝুটা এসবের ঘাম এবং গাধা ও খচ্চরের ঘাম পাক।
বিড়াল, ইদুর ও ঘরে বসবাসকারী অন্যান্য প্রাণী, যেমন- টিকটিকি, চিকা ইত্যাদি এবং যেসব পাখির গোশত খাওয়া হারাম তাদের উচ্ছিষ্ট মাকরূহ।
শুকর, কুকুর, হাতী ও এ জাতীয় সকল হারাম চতুষ্পদ প্রাণীর (বিড়াল ব্যতীত) উচ্ছিষ্ট হারাম।
(সুত্র: মালাবুদ্দা মিনহু- ১৩৪, ১৩৫,৪৭)