(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
ইশরাকের নামাজের ফজিলত ও ওয়াক্তের বর্ণনা
ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করার পর সূর্য এক নেজা
(যার পরিমাণ প্রায় ২৩ মিনিট সময়) উপরে উঠা পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার জিকিরে মশগুল থাকা মুস্তাহাব।
অত:পর দুই রাকআত নফল নামাজ আদায় করলে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাওয়া যায়।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যে ব্যক্তি দিনের শুরু ভাগে চার রাকআত নামাজ পড়বে আমি তার ঐ দিনের যাবতীয় প্রয়োজন মিটানোর জন্য যথেষ্ট হয়ে যাব”।
একে ইশরাকের নামাজ বলা হয়।
চাশত, তাহিয়্যাতুল অজু ও তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজের বর্ণনা
সূর্যের আলো প্রখর হওয়ার পর থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দুই রাকআত, চার রাকআত, ছয় রাকআত কিংবা বার রাকআত,
চাশতের নামাজ পড়ার কথা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত আছে।
সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে যাওয়ার পর জোহরের পূর্বে চার রাকআত নফল নামাজ আদায় করার কথা হাদীসে দ্বারা প্রমাণিত।
অজু করার পর দুই রাকআত “তাহিয়্যাতুল অজু” পড়া এবং মসজিদে প্রবেশ করার পর দুই রাকআত “তাহিয়্যাতুল মসজিদ” পড়া সুন্নত।
এমনিভাবে আসরের নামাজ আদায়ের পর সূর্য লাল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত জিকিরে মশগুল থাকা সুন্নত।
জামায়াতের সাথে নফল নামাজ আদায় করার হুকুম কি?
নফল নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করা মাকরূহ। তবে রমজান মাসে সুন্নত হলো,
এশার নামাজের পর দশ সালামে বিশ রাকআত নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করা এবং প্রত্যেক রাকআতে দশ আয়াত তেলাওয়াত করা।
যাতে পুরো রমজানে একবার কোরআন মজীদ খতম হয়। লোকজনের অলসতা কারণে এর চেয়ে কম তেলাওয়াত করবে না।
যদি লোকজনের আগ্রহ থাকে তাহলে পুরো রমজানে কোরআন মজীদ দুই বা তিনবার খতম করা যেতে পারে।
(বিশ রাকআতের) প্রত্যেক চার রাকআত পর পর চার রাকআতের সমপরিমাণ সময় বসে আল্লাহ তায়ালার জিকিরে মশগুল থাকবে।
এ নামাজ কে তারাবীহের নামাজ বলে।
তারাবীহ নামাজ আদায় করার পর বিতরের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করবে।
রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসে বিতর নামাজ জামায়াতের সাথে পড়া মাকরূহ।