Breaking News
Home / নামাজ / অসুস্থ ব্যক্তির নামাজ পড়ার নিয়ম

অসুস্থ ব্যক্তির নামাজ পড়ার নিয়ম

(মুলিমবিডি২৪ ডটকম)

অসুস্থ ব্যক্তির নামাজ পড়ার নিয়ম

যদি অসুস্থ ব্যক্তি দাঁড়ানোর শক্তি না রাখে অথবা বৃদ্ধির আশংকা থাকে, তাহলে সে বসে -সেজদা করে আদায় করবে।

আর যদি এমন হয় যে, রুকু-সেজদা করতে সক্ষম নয়, কিন্তু দাঁড়াতে সক্ষম তাহলে ইমাম আযম (রহ.)-এর মতে ফতোয়া হলো,

তার জন্য দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার চেয়ে বসে আদায় করাই উত্তম।

কাজেই এমন ব্যক্তি বসে নামাজ আদায় করবে এবং রুকু-সেজদা মাথা দ্বারা ইশারা করে আদায় করবে।

তবে সেজদার ইশারার সময় মাথা রুকু অপেক্ষা বেশী ঝুকাবে।

আর যদি সে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে এবং ইশারার মাধ্যমে রুকু-সেজদা করে, তবে তাও সহীহ হবে।

গ্রন্থকারের মতে দাঁড়ানোর শক্তি থাকলে কিয়াম পরিত্যাগ করবে না।

আর যদি দাড়াতে সক্ষম না হয় এবং রুকু সেজদা করার শক্তি না থাকে তাহলে সে বসে নামাজ আদায় করবে।

যদি বসার শক্তিও না থাকে তাহলে সে চিৎ হয়ে শুয়ে নামাজ আদায় করবে এবং উভয় পা কিবলার দিকে রাখবে,

অথবা কাত হয়ে শুয়ে নামাজ আদায় করবে এবং কেবলামুখী হয়ে মাথা দিয়ে ইশারা করবে।

যদি রুকু-সেজদা ইশারার মাধ্যমেও আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে ইশারা করার শক্তি অর্জিত হওয়া পর্যন্ত নামাজ স্থগিত রাখবে।

সে ব্যক্তি ঐ মুহূর্তে মারা যায় তাহলে গোনাহগার হবে না। আর যদি নামাজের মধ্যে অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে তার শক্তি অনুযায়ী নামাজ পূর্ণ করবে।

অসুস্থ ব্যক্তি বসে বসে রুকু সেজদা আদায় করা অবস্থায় নামাজের মধ্যেই দাড়ানোর শক্তি করে তাহলে এরপর সে কিভাবে নামাজ পড়বে?

যদি অসুস্থ ব্যক্তি বসে বসে রুকু-সেজদা আদায় করা অবস্থায় নামাজের মধ্যেই দাড়ানোর শক্তি লাভ করে, তাহলে বাকী নামাজ দাঁড়িয়ে আদায় করবে।

তবে ইমাম মুহাম্ (রহ.)-এর মতে নামাজ পুনরায় প্রথম থেকে শুরু করবে।

আর যদি অসুস্থ ব্যক্তি ইশারায় নামাজ আদায় করতে থাকে এবং নামাজের মধ্যেই রুকু-সেজদা করার শক্তি লাভ করে,

তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম থেকেই তাকে নামাজ শুরু করতে হবে। যদিও এরকম হয়না তারপরও জানা থাকা ভাল।

কেউ যদি এক দিন এক রাত্র পর্যন্ত বেহুশ বা পাগল থাকে তাহলে ঐ নামাজ কাযা করতে হবে?

যদি কোন ব্যক্তি এক দিন এক রাত অজ্ঞান অথবা পাগল অবস্থায় থাকে, তাহলে ঐ সময়ের নামাজ ক্বাযা করতে হবে।

আর যদি এ অবস্থায় এক দিন এক রাত হতে এক ঘণ্টা সময় ও বেশী অতিবাহিত হয় তাহলে ক্বাযা,ওয়াজিব হবে না।

ইমাম মুহাম্মদ (রহ.)-এর মতে যতক্ষণ পর্যন্ত ষষ্ঠ ওয়াক্ত নামাজের সময় না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত ক্বাযা ওয়াজিব হবে।

(হাওলা: মালাবুদ্দা মিনহু-৭৮,৭৯)

About Admin

আমার নাম: এইচ.এম.জামাদিউল ইসলাম ঠিকানা: সিলেট, বাংলাদেশ। আমি কোরাআনের খেদমতে আছি এবং MuslimBD24.Com সাইটের ডিজাইনার (Editor) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকায়, তাই সময় পেলে দ্বীন ইসলাম প্রচারের সার্থে দ্বীন ইসলাম নিয়ে কিছু লেখালেখি করি। যাতে করে অনলাইনেও ইসলামিক জ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞানহীন মানুষ, ইসলামিক জ্ঞান সহজে অর্জন করতে পারে। একজন মানুষ জন্মের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নিজের জীবনকে ইসলামের পথে চালাতে গেলে ইসলাম সম্পর্কে যে জ্ঞান অর্জন করার দরকার, ইনশা-আল্লাহ! এই ওয়েব সাইটে মোটামুটি সেই জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। যদি সব সময় সাইটের সাথে থাকে। আর এই সাইটটি হল একটি ইসলামিক ওয়েব সাইট । এ সাইটে শুধু দ্বীন ইসলাম নিয়ে লেখালেখি হবে। আল্লাহ তায়ালার কাছে এই কামনা করি যে, আমরা সবাইকে বেশী বেশী করে ইসলামিক জ্ঞান শিখার ও শিখানোর তাওফিক দান করুন, আমিন। তাজবীদ বিষয়ে কিছু বুঝতে চাইলে যোগাযোগঃ 01741696909

Check Also

নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফায়দা

নফল নামাজের গুরুত্ব ও ফায়দা

(মুসলিমবিডি২৪ডটকম) ফরজ নামাজের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হবে। এই হিসাবে পার হতে না …

Powered by

Hosted By ShareWebHost