(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
ধনী হোক বা গরীব হোক কুরবানী দাতার জন্য কুরবানীর পশুর গোশত নিজে খাওয়া, সঞ্চয় করে রাখা বা যাকে খুশি খাওয়ানো জায়েজ আছে।
তবে এক- তৃতীয়াংশ সদকা করা মুস্তাহাব। কিন্তু পরিবার খুব বড় হলে এবং এক তৃতীয়াংশ গোশত তাদের জন্যে যথেষ্ট না হলে,
সে ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশ অপেক্ষা কম বা একেবারে সদকা না করলেও কোন ক্ষতি নেই।
কুরবানীর পশুর চামড়ার হুকুম কি?
কুরবানীর পশুর চামড়া দান করে দেওয়াও জায়েজ আছে। তার দ্বারা ব্যাগ, মশক বা গৃহস্থলী কাজে ব্যবহৃত হয় এমন কোন জিনিস,
তৈরি করাও জায়েজ আছে। কুরবানীর চামড়ার সঙ্গে এমন কিছু বদল করে নেওয়া যাবে যেগুলি নষ্ট না করে (বাকী রেখে) ফায়দা উঠানোর সম্ভব হয়।
যেমন- কাপড়, মোজা ইত্যাদি। সিরকা, আটা, গোশতের মশল্লা ইত্যাদি যেসব জিনিস শেষ হয়ে যায়,
সেগুলির পরিবর্তে চামড়া বদল করা জায়েজ নেই। কুরবানীর গোশতের ক্ষেত্রেও একই বিধান।
কুরবানীর গোশত ও চামড়া বিক্রয় করার হুকুম কি?
কুরবানীর গোশত এবং তার চামড়া টাকা-পয়সার বিনিময়ে বিক্রি করা জায়েজ নেই। কেননা, এ ধরনের বিক্রয় সাধারণত:
অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যই হয়ে থাকে। অতচ এরূপ করা ওয়াকফকৃত মালের ক্ষেত্রে জায়েজ নয়।
মাসআলা:
কোন ব্যক্তি যদি কুরবানীর গোশত অথবা চামড়া টাকা পয়সার বিনিময়ে বিক্রি করে, অথবা সিরকা ইত্যাদি এমন কোন জিনিসের সঙ্গে বদল করে,
যা ব্যবহারে শেষ না হয়ে পারে না, তাহলে তার মূল্য সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব হবে।
নাবালেগের মাল দ্বারা কুরবানী করার হুকুম কি?
যদি কোন নাবালেগের মাল থেকে কুরবানী করা হয় তবে তার গোশত ঐ নাবালেগ বাচ্চা খেতে পারবে ও তার প্রয়োজন পরিমাণ গোশত জমা করেও রাখতে পারবে।
আর অবশিষ্ট গোশতের বিনিময়ে কাপড়, মোজা ইত্যাদি ব্যবহার উপযোগী জিনিস তৈরি করে বা খরিদ করতে পারবে।
তবে এমন কোন কিছুর সঙ্গে বিনিময় করবে না যেগুলি ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায়। যেমন- আটা, সিরকা, মিষ্টান্ন, খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদি।
কুরবানীর গোশত পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়ার হুকুম কি?
কুরবানীর পশুর কোন কিছুই পারিশ্রমিক হিসেবে কসাইকে বা অন্য কাউকে দেয়া জায়েজ নেই, যার ব্যাপক প্রচলন আমাদের দেশের সাধারণ লোকদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।
তারা কুরবানীর চামড়া পারিশ্রমিক হিসেবে কসাইকে দিয়ে থাকে। এসব একেবারে জায়েজ নেই। এসব করা মানে নিজের পায়ে কুড়াল মারা।
(হাওলা: মালাবুদ্দা মিনহু- ২০২, ২০৩