(মুসলমবিডি২৪ ডটকম)
(কুরবানীর ক্ষেত্রে) দুম্বা ভেড়া অপেক্ষা উত্তম, বকরী খাসী অপেক্ষা উত্তম। যদিও মূল্য ও গোশত সমান সমান হয়।
গরুর এক সপ্তমাংশের মূল্য যদি দুম্বা ভেড়া বা বকরীর সমান হয় তবে দুম্বা ভেড়া বা বকরী গরুর এক সপ্তমাংশের তুলনায় উত্তম।
এটা সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত। তবে কোন কোন ফেকাহবিদের মতে উষ্ট্রী ও গাভী, উট ও বলদ (ষাঁড়) অপেক্ষা উত্তম।
কোন দিন কুরবানী করা শ্রেয়?
প্রথম দিন অর্থাৎ ১০ই জিলহজ্জ তারিখে কুরবানী করা সর্বোত্তম। রাত্রি বেলায় কুরবানী করা মাকরূহ।
আর কুরবানীর দিনের রাত্রিতে (অর্থাৎ ৯ ও ১০ই জিলহজ্জের মধ্যবর্তী রাত্রিতে) কুরবানী করা জায়েজ নয়।
কারণ সকলেই এ ব্যাপারে একমত যে, রাত্রি সর্বদাই দিবসের পরে আসে (অর্থাৎ যদিও রাত আগে আসে তথাপি দিবসের নামের সাথে একাত্ম হয়ে উক্ত দিবসের মাধ্যমেই তার পরিচয় ঘটে)।
ঘটনাক্রমে কুরবানীর দিন নিয়ে যদি সন্দেহের সৃষ্টি হয়, তবে তৃতীয় দিন পর্যন্ত কুরবানী করতে বিলম্ব না করা মুস্তাহাব।
কুরবানীর দিনসমূহে কুরবানী না করায় নির্ধারিত দিনসমূহ অতিবাহিত হয়ে গেলে কুরবানীর মূল্য সদকা করে দেয়া উত্তম।
কুরবানীর দিনগুলো অতিবাহিত হয়ে গেল কিন্তু কুরবানী করা হয়নি তাহলে তার হুকুম কি?
কোন ব্যক্তি যদি কুরবানী না করে এবং কুরবানীর দিনগুলি অতিবাহিত হয়ে যায় আর তিনি যদি কুরবানী দেওয়ার জন্যে ইতিপূর্বে,
কোন ভেড়া বা বকরী নির্দিষ্ট করে রেখে থাকেন, তাহলে উক্ত জানোয়ার জীবিতাবস্থায় সদকা করে দেয়া ওয়াজিব।
দরিদ্র ব্যক্তি যদি কুরবানী করার উদ্দেশ্যে কোন ভেড়া বা বকরী ক্রয় করে থাকে এবং কুরবানীর দিনসমূহে কুরবানী না করে,
এক্ষেত্রেও ফেকাহবিদগণের একই অভিমত। আর ধনী ব্যক্তি যদি কুরবানীর জন্য কোন পশু ক্রয় না করে এবং কুরবানীর দিনসমূহ অতিবাহিত হয়ে যায়,
তাহলে কুরবানীর মূল্য সদকা করে দেওয়া ওয়াজিব।
মৃত ব্যক্তির অনুমতি না নিয়ে কুরবানী করলে কি হবে?
কোন ব্যক্তি যদি মাইয়্যেতের (জীবদ্দশায় তার) অনুমতি না নিয়ে থাকে এবং মাইয়েতের নামে কুরবানী করে তবে তার সওয়াব মাইয়েতই পাবে।
আর কুরবানী আদায় হবে কুরবানীদাতার পক্ষ থেকেই।
অর্থাৎ তার গোশত নিজে খেতে পারবে এবং অন্যকে খাওয়াতে পারবে।
প্রিয় পাঠক! লিখাটি পড়ে ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।