তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তা ছাড়েন নি।
কখনো রাতে পড়তে না পারলে দিনে বার রাকাত ক্বাযা করে নিতেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ চার রাকাতের কম এবং বার রাকাতের বেশী পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের নামাজ তাহাজ্জুদের পরে পড়তেন। তাই এ নিয়মে পড়াই সুন্নত।
তবে এভাবে পড়া ঐ ব্যক্তির জন্য উত্তম, যার এ আত্নবিশ্বাস আছে যে, সে শেষ রাত্রে উঠে তাহাজ্জুদ আদায়ের পর বিতর পড়তে পারবে।
আর যদি শেষ রাতে উঠার ব্যাপারে নিশ্চিত না হওয়া যায় তাহলে ঘুমানোর পূর্বেই বিতর আদায় করে নিবে।
কারণ এতেই সতর্কতা নিহিত।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম কখনও বিতরসহ সাত রাকাত তাহাজ্জুদ আদায় করছেন।
কখনো এগার রাকাত, কখনও তের রাকাত,আবার ১৫ রাকাতও পড়েছেন।
কখনও দু'রাকাত, কখননো চার রাকাত, আবার কখনো সমস্ত রাকাত একই সালামে আদায় করেছেন।
কখনো আবার দু'দু' রাকাত নতুন ওজু ও মিসওয়াক করে পড়তেন এবং প্রতি দু'রাকাতের পর শয়ন করতেন।
তারপর আবার জাগ্রত হতেন।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজ অত্যন্ত দীর্ঘ করতেন।
ফলে তার পা মোবারক ফুলে ফেটে যাওয়ার উপক্রম হত। কখনো তিনি চার রাকাত এভাবে পড়তেন যে,
প্রথম রাকাতে সূরা বাকারা, দ্বিতীয় রাকাতে সূরা আল ইমরান, তৃতীয় রাকাতে সূরা নিসা এবং চতুর্থ রাকাতে সূরা মায়িদাহ তেলাওয়াত করতেন।
তিনি যে পরিমাণ সময় কেয়াম করতেন ঠিক সেই পরিমাণ সময় নিয়ে রুকু, ক্বওমা,সেজদা ও জলসা আদায় করতেন।
আবার কখনও তিনি একই রাকাতে উল্লেখিত ৪টি সূরা পড়ে নিতেন।
হযরত উসমান (রাযি.) বিতরের এক রাকাতে পরো কুরান মজীদ খতম করে ফেলতেন।
তবে মুস্তাহাব হলো প্রতিদিন এই পরিমাণ ক্বিরাত পাঠ করবে যা সর্বদা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়।
এক মাসে এক খতম অথবা দুই খতম অথবা তিন খতম করবে। অধিকাংশ সাহাবায়ে কেরাম সাত রাতে কুরান শরীফ খতম করতেন।
প্রথম রাতে বড় তিনটি সূরা অর্থাৎ বাকারা, আলে-ইমরান ও নিসা পাঠ করতেন।
দ্বিতীয় রাতে পাচটি সূরা এবং তৃতীয় রাতে সাতটি সূরা পড়তেন।
অত:পর পরবর্তী তিন রাতে যতাক্রমে নয়,এগার ও তেরটি সূরা পাঠ করতেন।
তারপর সর্বশেষ রাতে কুরান শরীফের বাকী অংশটুকু পড়ে নিতেন। তারা এইভাবে খতম করাকে (ফামী বি শওক) বলে আআখ্যায়িত করতেন।
সাহাবায়ে কেরাম কুরান শরীফ খুব তারতীলের সাথে পড়তেন।