মাস'আলা: মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার আগে প্রথমে আগর বাতি দ্বারা খাটিয়ায় তিন বার ধোয়া দিবে।
অত:পর মৃতের উপর আলাদা কোন কাপড় রেখে তার পরিহিত সমস্ত কাপড়-চোপড় খুলে ফেলবে এবং লাশটিকে খাটিয়ায় রাখবে।
তারপর তাকে নাজাসাতে হাকীকী থেকে পবিত্র করে নাকে ও মুখে পানি না দিয়ে অজু করাবে। অত:পর বরই পাতা বা এ জাতীয় কিছু দিয়ে গরম করা পানি তার সমস্ত শরীরে ঢালবে।
তার পর দাড়ি এবং মাথাকে খিতমি বা এ জাতীয় কিছু দ্বারা ধৌত করবে।
অত:পর প্রথমে মুর্দাকে বাম কাতে শায়িত করে ডান দিক এবং তারপর ডান কাতে শায়িত করে বাম দিক ধৌত করে দিবে।,
যাতে সমস্ত শরীরে পানি পৌছে যায়। অত:পর মুর্দাকে কোন কিছুর সাথে হেলান দিয়ে বসিয়ে আস্তে আস্তে পেটে চাপ দিবে।
যদি কিছু পেট থেকে বের হয় তবে তা পরিষ্কার করে দিবে।
পুনরায় গোসল দেওয়ার প্রযোজন নেই। তার পর কাপড় দিয়ে শরীর মুছে মাথায় ও দাড়িতে সুগন্ধি এবং সিজদার অংগসমূহের উপর কর্পুর লাগিয়ে দিবে। অত:পর পরিধান করাবে।
ইমাম আবু হানিফা রহ. এর মতে মৃত ব্যক্তিকে তিনখানা কাপড় দিয়ে কাফন পড়ানো সুন্নত।
১. কাফনী জামা-গলা থেকে পায়ের নলা পর্যন্ত।
২. বড় চাদর – মাথা থেকে পা পর্যন্ত (এক হাত বড়)
৩. ছোট চাদর – মাথা থেকে পা পর্যন্ত।
সহীহ হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তিন খানা চাদর দিয়ে কাফন দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে কোর্তা ছিল না। মৃত ব্যক্তিকে পাগড়ী পড়ানো বিদ'আত।
যদি তিনখানা কাপড় পাওয়া না যায়, তাহলে দু'খানা কাপড়ই যথেষ্ট। হযরত হামজা রা. কে শুধু মাত্র একখানা কাপড় দ্বারা কাফন দেওয়া হয়েছে। আর তা এত ছোট ছিল যে, মাথা ঢাকলে পা খুলে যেত এবং পা ঢাকলে মাথার দিকে কাপড় কম পড়ে যেত।
পরিশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশক্রমে সাহাবায়ে কেরাম রাযি. তার মাথার দিকে কাপড় দিয়ে পায়ের উপর ঘাস ছড়িয়ে দেন।
মহিলাদেরকে অতিরিক্ত আরো দুটি কাপড় দিতে হবে।
১. দামনী (উড়না) যা মুর্দা মাথার চুল পেঁচিয়ে (চুলের) বুকের উপর রেখে দেওয়া হয়।
২. সিনাবন্দ – বগল থেকে হাটু পর্যন্ত।
যদি পাচ খানা কাপড় না পাওয়া যায়, তবে তিনখানা কাপড়ই যথেষ্ট হবে।প্রয়োজনবোধ তাও যদি পাওয়া না যায়; তাহলে যা পাওয়া যাবে তা দিয়েই কাফন দিবে।
মালাবুদ্দা- মিনহু ১০২-১০৩