ভূমিকা:
সংসার এক শান্তির ঠিকানা। আর এই শান্তির এক গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি হলো পারস্পরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর বোঝাপড়া।
যেখানে শাশুড়ি ও বউ আন্তরিকভাবে একে অপরকে মেনে নেন এবং ভালোবাসেন, সেই সংসার হয়ে ওঠে উদাহরণযোগ্য।
বিশেষ করে, একজন পুরুষের জীবনে এ মেলবন্ধন এনে দেয় মানসিক প্রশান্তি, নিরাপত্তা এবং পরিপূর্ণতা।
যে শাশুড়ি চান আমার সন্তান শান্তিতে জীবন যাপন করুক, তিনি অবশ্যই তার স্ত্রীর প্রতি ভাল ব্যবহার করবেন,স্ত্রী সুখী থাকলে স্বামী এমনিতেই সুখী হয়ে যায়।
বউ-শাশুড়ি সম্পর্কের প্রকৃতি:
সমাজে বউ-শাশুড়ি সম্পর্ক অনেক সময় বিদ্বেষপূর্ণ হিসেবে চিত্রিত হলেও, বাস্তবে আন্তরিকতা, বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক হতে পারে চমৎকার।
একজন শাশুড়ি যখন নিজের মেয়ের মতো বউকে গ্রহণ করেন এবং একজন বউ যখন মায়ের মতো সম্মান দেন শাশুড়িকে, তখনই গড়ে ওঠে হৃদয়ের বন্ধন।
পুরুষের দৃষ্টিকোণ:
একজন পুরুষ যখন দেখেন তার স্ত্রী ও মা ভালোবাসা ও সম্মানের বন্ধনে আবদ্ধ, তখন তার ভিতর এক আত্মিক তৃপ্তি জন্ম নেয়।
কর্মক্ষেত্রে সে হয় মনোযোগী, পরিবারে হয় শান্ত, আর হৃদয়ে জন্ম নেয় কৃতজ্ঞতা। সংসারে দ্বন্দ্ব না থাকলে একজন পুরুষ যেমন মানসিকভাবে দৃঢ় হয়, তেমনি পরিবারে আসে সুখের পরশ।
এই সম্পর্ক গড়ার উপায়:
– শুনতে জানতে হবে – বউ ও শাশুড়ির একে অপরকে বুঝতে শোনা দরকার।
– সম্মান – বয়স ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে শ্রদ্ধা অপরিহার্য।
– সহানুভূতি – ভুলত্রুটি মাফ করে দেওয়া এবং বুঝে চলা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
– পুরুষের ভূমিকা – স্বামী ও ছেলে হিসেবে ভারসাম্য বজায় রেখে সম্পর্ক দৃঢ় করা।
উপসংহার:
শাশুড়ি ও পুত্রবধূর ভালো সম্পর্ক কেবল পরিবারে শান্তি আনে না, বরং সমাজে সুস্থ মূল্যবোধের ভিত্তিও স্থাপন করে।
একজন পুরুষের জীবনে এই সম্পর্ক শান্তির বাতিঘর হয়ে ওঠে।
তাই চলুন, সম্পর্ক নয় প্রতিযোগিতা ভাবি না; বরং ভালোবাসা, বোঝাপড়া আর আন্তরিকতা দিয়ে গড়ে তুলি সুখের সংসার।
লিখেছেনঃ হাঃ মাওঃ আব্দুল্লাহ্ আফজাল