শরীরের সুস্থতার পেছনে হরমোনের রয়েছে বিশাল ভূমিকা।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা শুধু দৈহিক নয়, মানসিক ও যৌন স্বাস্থ্যেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
এই আর্টিকেলে আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন—টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন—নিয়ে আলোচনা করব।
টেস্টোস্টেরন হরমোন: পুরুষদের জন্য অপরিহার্য।
পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের সমস্যা:
- যৌন চাহিদা হ্রাস,
- দ্রুত বীর্যপাত বা বীর্য তরল হয়ে যাওয়া,সামান্য উত্তেজনায় বীর্যপাত,
- পেনিসে কার্যকারিতা হ্রাস,
- স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়া,
- কাজে অমনোযোগ,
- মাথার চুল ও দাড়ি পড়ে যাওয়া,
- দেহের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা,
- ক্ষয় রোগ,
- খাবারে অনীহা
হরমোন কমে যাওয়ার কারণ
১. অতিরিক্ত রাত্রি জাগরণ: রাতে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম না হলে শরীরে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন ব্যাহত হয়।
২. বয়সের প্রভাব: ৩০ বছর পার হলে হরমোন নিঃসরণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
ইস্ট্রোজেন হরমোন: নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি দেখা দিলে নানাবিধ শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে:
- যৌন চাহিদা হ্রাস,
- শরীরের ওজন বৃদ্ধি,
- স্তনের ব্যথা বা ঝুলে যাওয়া,
- অতিরিক্ত মাথাব্যথা, মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত,
- স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগে ঘাটতি
হরমোন বাড়াতে সহায়ক খাবার
হরমোন স্বাভাবিক রাখতে কিছু প্রাকৃতিক খাবার খুব উপকারী:
– টেস্টোস্টেরনের জন্য: মধু, কালোজিরা, ঘি, কাজুবাদাম, পাতাকপি, ছোট মাছ, সমুদ্রের মাছ, পালং শাক, আনার, গাজর ইত্যাদি।
বিশেষ উপায়:
৭ দিন সমুদ্রিক ঝিনুক সেবন।
হাঁসের ডিমের কুসুম + মধু + ঘি + নারিকেল তেল মিশিয়ে সপ্তাহে চার দিন গ্রহণ।
উপসংহার
স্বাস্থ্যই সম্পদ। হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা প্রতিটি পুরুষ ও নারীর জন্য জরুরি। সঠিক ঘুম, পুষ্টিকর খাদ্য এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হোক আমাদের প্রতিদিনের অঙ্গীকার।
✍️ হাঃ মাওঃ আব্দুল্লাহ্ আফজাল