উলামায়ে কেরাম ব্যবসা করলে সামাজিক ফায়দা
ভূমিকা:
উলামায়ে কেরাম হচ্ছেন সমাজের শ্রেষ্ঠতম শ্রেণি—যাঁরা মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করেন, দ্বীনি জ্ঞান শিখান ও চরিত্র গঠনে ভূমিকা রাখেন।
কিন্তু যদি তাঁরা হালাল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন, তা হলে সমাজের জন্য হতে পারে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
১. হালাল রিজিকের আদর্শ তৈরি হয়:
উলামায়ে কেরাম নিজেরা ব্যবসা করলে মানুষ বুঝে যায় যে রিজিক অন্বেষণে শুধু বেকার ভরসা না করে, হালাল উপার্জনের পথেও সম্মানজনক জীবনযাপন সম্ভব।
২. আত্মমর্যাদা রক্ষা:
উলামাগণ যখন ব্যবসার মাধ্যমে আত্মনির্ভর হন, তখন দান-সাদকার ওপর নির্ভরশীলতা কমে। এতে তাঁদের বক্তব্য আরও স্বাধীন ও দ্বীন নির্ভর হয়।
৩. দাওয়াহর বিস্তার:
একজন আলেম ব্যবসার মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সংস্পর্শে আসেন। এতে তাঁর দাওয়াতি পরিধি বিস্তৃত হয়। ব্যবসা ও দাওয়াহ একত্রে পরিচালনা করে বাস্তব জীবনের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরা যায়।
৪. সততার মডেল স্থাপন:
উলামাগণ যখন ব্যবসায় সততা, আমানতদারি ও ন্যায়বিচার দেখান, তখন মুসলিম ব্যবসায়ীদের জন্য তা হয় এক অনুপ্রেরণার উৎস। এতে বাজারে ইসলামি নীতিমালার প্রচলন হয়।
৫. তরুণদের উৎসাহ:
অনেক তরুণ মনে করে যে ইলমে দ্বীন মানেই শুধু মসজিদ-মাদরাসায় সীমাবদ্ধ থাকা।
কিন্তু আলেমগণ যদি সফল হালাল ব্যবসায়ী হন, তাহলে তরুণদের মাঝে দ্বীনি ইলম ও অর্থনৈতিক সচেতনতা—উভয়েই আগ্রহ তৈরি হয়।
উপসংহার:
উলামায়ে কেরাম যদি হালাল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন, তবে সমাজে একটি ব্যালান্স তৈরি হয়—ইলম ও আমলের পাশাপাশি আর্থিক সক্ষমতা,
আত্মমর্যাদা ও দাওয়াতি প্রভাবও বাড়ে। তবে শর্ত হল, ব্যবসার মাঝে দ্বীনের মিশন ও আমানতের গুণ বজায় রাখা।
✍️ হাঃ মাওঃ আব্দুল্লাহ্ আফজাল